ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে ঢাকার একটি আদালত।
বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন নূরুল হুদা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে ভোট ছাড়াই ফল ঘোষণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলাটি শেরে বাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রহসনমূলক ভোটগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
গত ২২ জুন রাজধানীর উত্তরা থেকে নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালত তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
রিমান্ড চলাকালে ২ জুলাই তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের বিষয় স্বীকার করেন বলে মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে।
এর পরদিন জামিন আবেদন করা হলে বুধবার তা খারিজ করে দেন আদালত।
মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং এতে আরও কয়েকজন নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জড়িত থাকার বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ককে আরও তীব্র করেছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতের সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কার্যকর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সামনে এনেছে।