তিব্বতের এভারেস্টের পূর্ব স্লোপে তুষারঝড়ে প্রায় ১,০০০ জন পর্যটক এবং পাহাড়চড়া শিবিরে থাকা মানুষ ফেঁসে আছেন। চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী ও উদ্ধারকর্মীদের বড় দল পাঠানো হয়েছে, যারা ৪,৯০০ মিটার উচ্চতায় (১৬,০০০ ফুট) প্রবেশ পথের তুষার পরিষ্কার করছেন। চীনা সংবাদমাধ্যম জানায়, ইতিমধ্যেই কিছু পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ভারী তুষারপাত শুরু হয় এবং শনিবার পর্যন্ত এটি তিব্বতের পূর্ব স্লোপে আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এই এলাকা পাহাড়চড়া ও ট্রেকিংয়ের জন্য জনপ্রিয়।
চীনের ব্লু স্কাই রেসকিউ দল জানিয়েছে, তাঁবু ভেঙে পড়েছে এবং কিছু পাহাড়চড়া শীতাজনিত সমস্যায় ভুগছেন। পরিস্থিতি তীব্র হওয়ায় তিঙ্গরি কাউন্টি ট্যুরিজম কোম্পানি শনিবার থেকে এভারেস্ট ভিউয়ার এলাকা ও টিকেট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
এ সময় প্রতিবেশী নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস ও জলপ্রলয়ে অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন এবং কয়েকটি সেতু ধ্বংস হয়েছে। চীনে টাইফুন মাতমো তীব্র হয়ে ১,৫০,০০০ মানুষকে তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এভারেস্ট বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, যার উচ্চতা ৮,৮৪৯ মিটার। প্রতি বছর বহু মানুষ এটি জয় করার চেষ্টা করেন। তবে তুষারঝড়, হিমবাহ ঝুঁকি ও ভিড়জনিত সমস্যা এই অভিযানের বিপদ বাড়িয়ে তোলে।
তিব্বতের এই তুষারঝড় এবং পাহাড়চড়া শিবিরে আটকে পড়ার ঘটনা নতুন করে সতর্কবার্তা দিচ্ছে যে, উচ্চ পাহাড়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।