ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের অংশ হিসেবে রাশিয়ার সাধারণ নাগরিকদের ভিসা অস্বীকার করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে পাঁচটি দেশ। গ্রিক সংবাদমাধ্যম প্রোনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিস, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও হাঙ্গেরি এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।
এটি প্রথমবারের মতো গ্রিস কোনো রাশিয়া-সংশ্লিষ্ট ইইউ সিদ্ধান্ত আটকালো বলে উল্লেখ করেছে প্রোনিউজ। যদিও সাইপ্রাস এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেনি। দেশটিতে বিপুল সংখ্যক রাশিয়ান পাসপোর্টধারী বসবাস করে।
প্রোনিউজের তথ্যমতে, রাশিয়ান পর্যটকের সংখ্যা কমে গেলে পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এমন আশঙ্কা থেকেই গ্রিস এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়ান পর্যটকরা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি খরচ করেন। একই সঙ্গে স্থানীয় রাশিয়ান সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাব ও মস্কোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের আশঙ্কাও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
এর আগে ইউরঅ্যাক্টিভের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিছু ইইউ দেশ রাশিয়ান পর্যটক ভিসায় কঠোর সীমাবদ্ধতা এবং কূটনীতিকদের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়। ইইউর কিছু সদস্য এমনকি রাশিয়ান পর্যটকদের সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার পক্ষেও অবস্থান নিয়েছে।
ইইউর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ উপস্থাপনে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ প্যাকেজে ব্যাংক খাতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং নিষেধাজ্ঞা এড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
ইউক্রেন সংকট তীব্র হওয়ার পর ইইউ রাশিয়ান নাগরিকদের প্রবেশ কঠোর করে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোর সঙ্গে ভিসা সুবিধা চুক্তি স্থগিত করা হয়। এতে আবেদন প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ হয় এবং অধিকতর নজরদারির আওতায় আসে। এছাড়া রাশিয়ান উড়োজাহাজের ওপর ইউরোপীয় আকাশপথে উড়ান নিষেধাজ্ঞাও বহাল থাকে।
তবুও শেনগেনভুক্ত দেশগুলো ২০২৪ সালে রাশিয়ান নাগরিকদের পাঁচ লাখেরও বেশি ভিসা প্রদান করেছে। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক চতুর্থাংশ বেশি। ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেন ছিল এ তালিকার শীর্ষে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ান নাগরিকদের ভিসা সীমাবদ্ধতা অযৌক্তিক। তবে তিনি যোগ করেন, রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থবিরোধী না হলে মস্কো পাল্টা পদক্ষেপ নেবে না।