আর্লিং হল্যান্ড আবারও দেখালেন তার গোল করার নিখুঁত দক্ষতা। রোববার রাতে বর্নমাউথকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে দুই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন হল্যান্ড। পেপ গার্দিওলার দল এখন ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ছয় পয়েন্ট পিছিয়ে। অপরদিকে, নয় ম্যাচ পর প্রথম হারের মুখ দেখেছে বর্নমাউথ, যারা ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে।
প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ১৩ গোল করে গোলদাতার তালিকার শীর্ষে আছেন হল্যান্ড। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে মিডফিল্ড থেকে বল এগিয়ে নিজেই দৌড়ে গিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
২৫তম মিনিটে টাইলার অ্যাডামসের গোলে সমতায় ফেরে বর্নমাউথ। সিটি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা বল ঠিকভাবে ক্লিয়ার করতে না পারলে সুযোগ কাজে লাগান অ্যাডামস। যদিও সিটি ফাউলের দাবি জানায়, ভিএআর চেক শেষে গোলটি বহাল থাকে।
তবে সমতা বেশিক্ষণ টিকেনি। ৩৩তম মিনিটে আবারও গোল করেন হল্যান্ড—বিপক্ষ রক্ষণ ভেদ করে বাম পায়ের নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান তিনি।
৬০তম মিনিটে ফিল ফোডেনের পাস থেকে নিকো ও’রেইলি দলের তৃতীয় গোলটি করেন।
“আমরা দারুণ খেলেছি,” ম্যাচ শেষে বলেন পেপ গার্দিওলা। “প্রেসিং ও রক্ষণে ছন্দ বজায় রাখা দরকার ছিল। আবারও হল্যান্ড পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”
এই মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে ২৬ গোল করলেন হল্যান্ড। তিনি এখন প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের তৃতীয় খেলোয়াড়, যিনি টানা চারটি হোম ম্যাচে দুই বা তার বেশি গোল করেছেন—এর আগে এই কীর্তি ছিল লুইস সুয়ারেজ ও রবি ফাউলারের।
“গত ম্যাচে আমি গোল পাইনি, তাই আজ দলের জন্য সাহায্য করতে চেয়েছি,” বলেন হল্যান্ড। “গোল করি বা ডুয়েল জিতি, সেটি বড় কথা নয়—দল যেন জেতে, সেটিই লক্ষ্য।”
হল্যান্ড হেসে বলেন, “আমাকে হ্যাটট্রিকের আগেই তুলে নেওয়ায় কিছু ফ্যান্টাসি ম্যানেজার হয়তো খুশি হয়নি।”
বর্নমাউথ শুরুটা ভালো করলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথম মিনিটেই এলি জুনিয়র ক্রৌপির গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকটি সুযোগ পেলেও বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হয় তারা।
“খারাপ খেলিনি,” বলেন বর্নমাউথ কোচ আন্দোনি ইরাওলা। “আমরা শুরুতে নিয়ন্ত্রণে ছিলাম, কিন্তু এই ধরণের খেলায় ঝুঁকি থাকে, সেটি মেনে নিতে হবে।”
