তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাত ইউরোপ ও গোটা অঞ্চলের জন্য অভিবাসন সংকট এবং পরমাণু ঝুঁকি বাড়াতে পারে। শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের সঙ্গে এক ফোনালাপে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ইসরায়েল গত সপ্তাহে ইরানের বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। দেশটির দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। হামলার পাল্টা জবাবে ইরানও পাল্টা অভিযান চালায়।
এরদোয়ানের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, “ইসরায়েলের হামলা যে সহিংসতার সঞ্চার করেছে, তা অভিবাসন ও পারমাণবিক ঝুঁকির দিক থেকে অঞ্চল ও ইউরোপ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।”
তিনি বলেন, এই সংকট নিরসনের একমাত্র পথ হলো আলোচনা। সহিংসতা আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এবং তুরস্ক সংঘাত নিরসনে সক্রিয় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র বৃহস্পতিবার জানান, এখন পর্যন্ত ইরান থেকে অভিবাসনপ্রবণ মানুষের সংখ্যায় “কোনো বৃদ্ধি” দেখা যায়নি।
দেশটির কর্মকর্তারা এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সংখ্যা প্রকাশ করেননি।
তুরস্কের ভান শহরের কাছাকাছি প্রধান কপিকয় সীমান্ত ক্রসিংয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদকরা জানান, কয়েক শ মানুষ সীমান্ত পার হচ্ছিলেন, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিকই মনে হয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তারাও বলেছেন, এটি “অস্বাভাবিক কিছু নয়।”
বুধবার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসার গুলার বলেন, “আমাদের সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো আরও জোরদার করা হয়েছে।”
বিশ্লেষকদের মতে, চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ শুধু সামরিক উত্তেজনাই নয়, বরং বড় মাত্রার অভিবাসনপ্রবাহ, মানবিক সংকট এবং পারমাণবিক বিপর্যয়ের হুমকিও তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগ ছাড়া এই সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী সংকটে রূপ নিতে পারে।