অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী আন্তর্জাতিক ঋণ সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির তথ্য থাকা সত্ত্বেও আইএমএফসহ বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা কোনো ধরনের সুশাসনের শর্ত আরোপ না করেই ঋণ দিয়েছে।
শনিবার ঢাকায় এক সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আনিসুজ্জামান বলেন, “তারা জানতো দেশে কী পরিমাণ দুর্নীতি হচ্ছে, তবুও কোনো শর্ত ছাড়াই ঋণ দিয়েছে। সেই সময়ের সরকারের সর্বাত্মক দুর্নীতিতে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ ছিল। এখন তারা এই দায় এড়াতে পারে না।”
তিনি আরো বলেন, “এখন যখন দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে আছে, তখন আইএমএফ নানা ধরনের শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। অথচ অতীতে তারা কোনো সুশাসনের শর্ত রাখেনি।”
আনিসুজ্জামান চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “আমি এখনও এমন কোনো দেশের কথা শুনিনি, যারা আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়ে অর্থনৈতিক পতন এড়াতে পেরেছে। বরং এ ধরনের ঋণে দেশগুলো আরও বিপদের দিকে গেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।”
তিনি মনে করেন, দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য পরিকল্পিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এই অবস্থায় দেশের জনগণের অভ্যুত্থান না ঘটলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতো।
তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন না হলে দেশ আজ আরও বড় অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হতো।”
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আনিসুজ্জামান চৌধুরীর এমন বক্তব্য অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, ঋণ সংস্থাগুলোর দায়বদ্ধতা নিয়েও এখন প্রশ্ন তোলা সময়ের দাবি।
