হেডিংলিতে প্রথম টেস্টে নাটকীয় রোমাঞ্চে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। ৩৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩৭৩-৫ স্কোরে ম্যাচ শেষ করে স্বাগতিকরা।
এই জয় ইংল্যান্ডকে এক অনন্য রেকর্ডের মালিক করে তুলেছে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো দল পাঁচটি ব্যক্তিগত শতকের মুখোমুখি হয়েও ম্যাচ জিতল। এমন নজির ৬০,০০০ এর বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে কখনো দেখা যায়নি।
ম্যাচের নায়ক ছিলেন বেন ডাকেট, যিনি ১৪৯ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে জ্যাক ক্রলি ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন এবং উদ্বোধনী জুটিতে ১৮৮ রান যোগ করেন। পরে জো রুট ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
শেষ দিকে জেমি স্মিথ ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে জয়সূচক ছক্কা হাঁকান ভারতের স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার বলে।
ভারতের পক্ষে জসপ্রিত বুমরাহ প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন উইকেটশূন্য। বিপরীতে শার্দুল ঠাকুর ও প্রসিধ কৃষ্ণা কিছু সময়ের জন্য ইংল্যান্ডকে চাপে ফেললেও তা টেকেনি।
ভারতের অধিনায়ক শুভমান গিল তার প্রথম ম্যাচেই শতক পেলেও জয় পাননি। তিনি ম্যাচ শেষে বলেন, “আমরা অনেক জায়গায় ভালো খেলেছি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো নিজেদের পক্ষে নিতে পারিনি।”
দলের পক্ষে ঋষভ পান্ত দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্টে এমন কীর্তি গড়েন, তবু হার রুখতে পারেননি। দলের ব্যাটিং ভরাডুবি ঘটে দুই ইনিংসে ৭-৪১ এবং ৬-৩১ ব্যবধানে ধস নেমে যাওয়ার কারণে।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেন, “হেডিংলিতে আমাদের ভালো কিছু স্মৃতি আছে, এই জয় আরেকটি যুক্ত করল। ডাকেট ও ক্রলির জুটিই জয়টা নিশ্চিত করেছে।”
এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচে ম্যাচসেরা ডাকেটের ইনিংসটি ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। ১৯৮১ সালে ইয়ান বোথাম হেডিংলিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন। সেই স্মরণীয় ম্যাচের কথাই যেন মনে করিয়ে দিল ডাকেটের ইনিংস।
দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার আগে ইংল্যান্ড দল আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর। ভারতীয় শিবিরে অবশ্য ভুলগুলো শুধরে ফিরতে হবে নতুন করে সিরিজে লড়াইয়ে টিকে থাকতে।