পবিত্র ঈদুল আজহা কেবল একদিন দূরে। দেশের বিভিন্ন পশুর হাটে কেনাবেচা চলছে জমজমাটভাবে। রাজধানীর রামপুরা, গাবতলী, মহাখালীসহ অস্থায়ী পশুর হাটগুলোও ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত।
তবে হাটের এই চেনা চিত্রের পেছনে দেখা যাচ্ছে এক অন্য রকম অনুভবের ছবি। বহু খামারি ও বিক্রেতা তাঁদের প্রিয় পশুগুলোকে বিদায় জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলছেন।
রামপুরার অস্থায়ী পশুর হাটে এমনই আবেগঘন মুহূর্ত দেখা গেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে।
গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে আসা মো. রাজীব বলেন, “এই গরুটাকে আড়াই বছর ধরে লালন করেছি। নিজ হাতে খাইয়েছি, যত্ন করেছি। এখন যখন বিক্রি করছি, খুব কষ্ট লাগছে।”
আরেক বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, “আমার স্ত্রী গরুগুলোর দেখাশোনা করত। যখন হাটে নিয়ে এলাম, সে মন খারাপ করে বসে ছিল। আমি নিজেও দুঃখ পাচ্ছি, কিন্তু কিছু করার নেই।”
এমন দৃশ্য কেবল রামপুরাতেই নয়, রাজধানীর অন্যান্য হাটগুলোতেও প্রায় একই অভিজ্ঞতা শোনা যাচ্ছে খামারিদের মুখে। কেউ কেউ বলছেন, গরুটিকে এতদিন পরিবারে সদস্যের মতো দেখেছেন, তাই বিদায় দেওয়া খুব কষ্টকর।
বিশেষ করে যেসব খামারি দীর্ঘদিন ধরে একটি বা দুটি পশু পালেন, তাঁদের আবেগ আরও তীব্র। অনেকেই বলছেন, শুধু ব্যবসার জন্য নয়, ভালোবাসা থেকেই তারা পশুগুলো লালন-পালন করেন।
হাটে ক্রেতারা একদিকে দরদাম করছেন, অন্যদিকে বিক্রেতারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে প্রিয় পশুর চোখে শেষবারের মতো তাকাচ্ছেন।
ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে হাটে ভিড় বাড়ছে। কিন্তু আবেগ-ভালোবাসার এই গল্পগুলো হারিয়ে যায় মানুষের ভিড়ে।