Monday, June 23, 2025
Homeরাজনীতিনির্বাচনকাল ঘোষণা: জামায়াতসহ চারটি দলের স্বাগত

নির্বাচনকাল ঘোষণা: জামায়াতসহ চারটি দলের স্বাগত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন গতি এনেছে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সীমার ঘোষণা। শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস এই ঘোষণা দেন। এতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল।

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. শফিকুর রহমান এবং আরও তিনটি রাজনৈতিক দল- জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), এবি পার্টি এবং নাগরিক ঐক্য- নতুন নির্বাচনকাল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। এই চারটি দলের মতে, নির্দিষ্ট সময়সীমার ফলে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং অস্থিরতা হ্রাস পাবে।

এতদিন পর্যন্ত সরকার জানিয়ে আসছিল যে নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তবে শুক্রবার রাতে নতুন করে জানানো হয় যে নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে।

এক বিবৃতিতে ড. শফিকুর রহমান বলেন, “১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণায় জাতি এখন স্বস্তি অনুভব করছে। এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।”

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এখন আন্তরিকভাবে আশা করছে যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথে দেশ এগিয়ে যাবে।

ড. শফিকুর রহমান আরও জানান, জনগণ চায় সরকার ‘জুলাই ঘোষণা’ অনুসারে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করুক। এই রোডম্যাপে রাষ্ট্রীয় সংস্কার, আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিচার এবং পরিশেষে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকার দাবি জানান তিনি।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, এবি পার্টি এবং নাগরিক ঐক্যও পৃথক বিবৃতিতে এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। দলগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্দিষ্ট সময়সীমা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি দূর করবে এবং উত্তেজনা প্রশমিত করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনকাল নির্দিষ্ট হলে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতি গ্রহণ সহজ হয় এবং ভোটারদের মধ্যেও আস্থা তৈরি হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক মহলেও একটি ইতিবাচক বার্তা যায় যে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ চলছে।

তবে বিশ্লেষকরা এটাও মনে করছেন যে ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়ন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করাই হবে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

এখন দেখার বিষয়, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মহলগুলো কতটা কার্যকরভাবে এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক সাড়া এই প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

RELATED NEWS

Latest News