নির্বাচন কমিশন (ইসি) ১৯৭২ সালের জনগণের প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া যাচাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ইসির সিনিয়র সচিব আকতার আহমেদ। তিনি জানান, আইন মন্ত্রণালয় যাচাই শেষ করলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত নবম কমিশন সভার পর নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছিলেন, খসড়ায় কয়েকটি বড় সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল করা, কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ রাখা এবং প্রয়োজনে নির্বাচন ফলাফল স্থগিত করার ক্ষমতা কমিশনকে দেওয়া।
এছাড়া ভোট সমান হলে লটারির পরিবর্তে পুনঃভোটের বিধান, সরকার ও কমিশনের মধ্যে মতবিরোধ হলে কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেওয়া, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার ৪৫ দিন আগে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ইসির অধীনে আনা, কমিশনের নির্দেশ অমান্য করলে গোপনে প্রতিবেদন দিয়ে শাস্তির ক্ষমতা, নির্বাচনী ব্যয় তদারকির জন্য কমিটি গঠন এবং রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয় প্রকাশ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, প্রতীক বরাদ্দের আগে মামলা নিষ্পত্তি, নির্বাচনের পরও প্রার্থীর হলফনামায় মিথ্যা তথ্য প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া এবং মিথ্যা অভিযোগের ক্ষেত্রেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এসব সংশোধনী কার্যকর হলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া আরও জোরদার হবে।