সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন সোমবার মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি সমমনা রাজনৈতিক দল।
রবিবার মগবাজারের আল-ফালাহ হলে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ডাকা ‘লকডাউন’ উপেক্ষা করবে ‘আটদলীয় জোট’।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমরা আগের কর্মসূচিগুলোতে সক্রিয় ছিলাম এবং এবারও ফ্যাসিববাদের পক্ষে কোনো নাশকতাকে জাতি মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ পাবে না। আটদলীয় জোট মাঠে থাকবে।”
তিনি জানান, জোটটি আসন্ন গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং প্রস্তাবিত সংস্কারের পক্ষে জনগণকে উৎসাহিত করবে। তিনি আরও বলেন, “জাতির উদ্দেশে দেওয়া উপদেষ্টার ভাষণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণের প্রত্যাশা আংশিকভাবে পূরণ করেছে। বাকি দাবিগুলো আদায়ে আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
এর আগে, রবিবার জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আল-ফালাহ হলে আটদলীয় জোটের নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম (পীর সাহেব, চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল মাজেদ আথারী, জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চান এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানী।
বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, উপদেষ্টার ভাষণ এবং চলমান আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। জোটটি তাদের পাঁচ দফা দাবিকে মূল এজেন্ডা হিসেবে উল্লেখ করে এবং সব লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
