নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় একটি মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী রয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের সিরামপুর আরাইমারি ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।
নিহতরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, তার স্ত্রী শেলি বেগম, শ্যালিকা ইতি বেগম, শিমা খাতুন, আনোয়ারা বেগম আন্নু, আনজুমান আরা, আন্না খাতুন এবং মাইক্রোবাসচালক শাহাব উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, কুষ্টিয়া থেকে একজন অসুস্থ আত্মীয়কে দেখে এনাায়েতপুরের উদ্দেশে ফিরছিলেন তারা। এসময় নাটোর থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসটি বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে।
সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। আহত অবস্থায় বাকিদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে আরও একজন পথেই মারা যান। গুরুতর আহত চালক শাহাব উদ্দিন ও শিমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, “সকালেই আমরা খবর পাই মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার। ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও যান চলাচল স্বাভাবিক করি। মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।”
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আহতদের চিকিৎসা ও নিহতদের মরদেহ দ্রুত নিজ গ্রামে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এই দুর্ঘটনা আবারো দেশের মহাসড়কে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।