ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : আসন্ন ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে জমে উঠেছে দেশীয় পোশাকের কেনাকাটা। ঢাকার নামকরা ফ্যাশন হাউসগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি প্রতিদিনই বাড়ছে। ছোটদের পোশাক থেকে শুরু করে বড়দের শাড়ি, পাঞ্জাবি কিংবা থ্রি পিস সব কিছুর চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভোলা থেকে আসা মোহাম্মদ বাইসিদ বাবামায়ের সঙ্গে এসে ঈদের জন্য নিজের পাঞ্জাবির মাপ নিচ্ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত ছোট্ট রায়না তার জীবনের প্রথম ঈদ উদযাপন করবে পরিবারের সঙ্গে। মায়ের ইচ্ছা, দেশীয় পোশাকেই সেজে উঠুক মেয়েটি।
একজন ক্রেতা বলেন, “ও ছোট থেকেই দেশীয় পোশাক পড়ে বড় হোক এবং বিশ্ববাসী জানুক আমাদের দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো কত সুন্দরভাবে কাজ করছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমারটা একটু বড় লাগছিল, তাই বদলে নিচ্ছি।”
ক্রেতাদের মধ্যে সুতির কাপড়ের প্রতি আলাদা একটি টান দেখা গেছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এগুলো আরামদায়ক, সহজে বদলানো যায় এবং বর্ষার এই আবহাওয়ায় তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
একজন নারী ক্রেতা জানান, “সাদা, আকাশি কিংবা উজ্জ্বল রঙের কাপড় দেখতে ভালো লাগে। আর বৃষ্টির সময় ভেজা কাপড় দ্রুত শুকিয়ে যাওয়াটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক।”
পছন্দের তালিকায় রয়েছে হাতের কাজের প্রোডাক্ট যেমন থ্রি পিস, কামিজ এবং ম্যাচিং শাড়ি। দোকানদাররা বলছেন, ঈদের পোষাক হিসেবে গ্রাহকেরা ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন ও আরামদায়ক কাপড়ের দিকে ঝুঁকছেন।
একজন বিক্রেতা বলেন, “হাতের কাজের থ্রি পিসে চাহিদা ভালো। টু পিস ও কামিজেও বিক্রি হচ্ছে।”
দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো বলছে, এখনই বিক্রির গতি বাড়তে শুরু করেছে। তবে ঈদের তারিখ যত এগিয়ে আসবে, ততই বাড়বে ক্রেতার ভিড় এবং বিক্রির পরিমাণ।
ঈদ উৎসব মানেই নতুন পোশাক, নতুন সাজ। আর সেই সাজের অংশ হিসেবে দেশীয় পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে, দেশীয় ফ্যাশন আজ কতটা শক্তিশালী ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।