ইকুয়েডরের সীমান্তবর্তী শহর এসমেরালদাসে বৃহস্পতিবার বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। এটি কয়েক দিনের মধ্যে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ কারাগার দাঙ্গা। পুলিশ জানিয়েছে, দুইটি সেল ব্লকে নিহতরা পাওয়া গেছে।
২০২১ সাল থেকে ইকুয়েডরের কারাগারগুলোতে প্রায় ৫০০ বন্দি মারা গেছে। সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম ইকুয়েডরের একটি কারাগারে ১৩ বন্দি এবং একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়। দেশটির অতিপ্রজীবন ও হিংসাত্মক কারাগারগুলো এখন সংগঠিত অপরাধ গোষ্ঠীর কার্যকর কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রতিযোগী গ্যাংগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ ইকুয়েডরের সামাজিক পরিবেশকে প্রভাবিত করেছে। দেশটির আনুমানিক ১৭ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে কারাগারের ভয়াবহ পরিস্থিতি সহ সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইকুয়েডর, বিশ্বের শীর্ষ কোকেইন উৎপাদক কলম্বিয়া এবং পেরুর মাঝে অবস্থান করে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বৈশ্বিক কোকেইনের প্রায় ৭০ শতাংশ ইকুয়েডরের বন্দরের মাধ্যমে যায়। গ্যাং যুদ্ধ প্রধানত দেশের কারাগারগুলোতে সংঘটিত হচ্ছে, যেখানে বন্দিদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় এবং কখনও কখনও তাদের দেহ অঙ্গভঙ্গি বা পোড়ানো হয়।
দেশটির সবচেয়ে বড় কারাগার হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ২০২১ সালে, যখন দক্ষিণ-পশ্চিমের গুয়ায়াকিল বন্দরে দাঙ্গায় ১০০-এর বেশি বন্দি নিহত হয়।
ইকুয়েডরের কারাগারের এই ন্যায্যতা ও নিরাপত্তা সংকট দেশের সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সংকটে ফেলেছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নজরে এসেছে।