Friday, June 27, 2025
Homeজাতীয়ভোটার তালিকা সংশোধনে সময়সীমা নির্ধারণে আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাঠাল ইসি

ভোটার তালিকা সংশোধনে সময়সীমা নির্ধারণে আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাঠাল ইসি

ভোটার অন্তর্ভুক্তির কাটা-অফ তারিখ নির্ধারণে আইন মন্ত্রণালয়ে খসড়া পাঠাল নির্বাচন কমিশন

আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির সময়সীমা নির্ধারণে আইন সংশোধনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “বর্তমান আইনে সংশোধন এনে আমরা এমন একটি কাটা-অফ তারিখ নির্ধারণের ক্ষমতা চেয়েছি, যাতে নির্বাচন কমিশন নিজেই বাস্তবভিত্তিক সময় নির্ধারণ করতে পারে।”

সচিব আরও বলেন, “ভোটার তালিকায় নতুন নাম অন্তর্ভুক্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা হলে তরুণদের অধিক হারে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। নির্বাচনী তফসিল ও প্রতীক বরাদ্দের সময় বিবেচনায় রেখেই সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে।”

আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে অগ্রগতি

আখতার আহমেদ জানান, ৩০০ আসনের মধ্যে ৭৬টি আসন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন এসেছে। এর মধ্যে কিছু আবেদন বর্তমান সীমানা অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে, আবার কিছু সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে।

তিনি বলেন, “আবেদনগুলো পরীক্ষা করে জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক সীমানা ইত্যাদি বিবেচনায় যা যুক্তিসঙ্গত মনে হবে, সেটিই চূড়ান্ত করা হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি। দ্রুত এ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।”

নির্বাচন সামগ্রীর কেনাকাটা

পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহের প্রক্রিয়াও শুরু করতে যাচ্ছে ইসি। সচিব বলেন, “আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেনাকাটা শুরু করতে পারব।”

নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হয়েছে ২২ জুন। মোট ১৪৪টি দলের পক্ষ থেকে ১৪৭টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে তিনটি দল একাধিক আবেদন করেছে।

সচিব জানান, বর্তমানে ২০ জন কর্মকর্তা এসব আবেদন প্রাথমিকভাবে যাচাই করছেন। প্রতীক সংখ্যা বাড়বে কি না, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ইসির এসব পদক্ষেপ রাজনৈতিক দলগুলো ও ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার সময়মতো প্রস্তুতি ও সুনির্দিষ্ট আইনগত কাঠামো থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আশা করা যায়।

RELATED NEWS

Latest News