আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২০২৫ সালের জন্য নতুন ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা’ প্রকাশ করেছে। দেশীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য প্রণীত এই নীতিমালায় যোগ্যতা, দায়িত্ব এবং নিয়মাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন এবং পরের দিন—এই তিন দিনের জন্যই পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে।
ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম বলেন, “পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ্য হওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, বয়স কমপক্ষে ২১ বছর এবং কমপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।”
২০২৫ সালের নতুন নীতিমালা ২০২৩ সালের পুরাতন নীতিমালাকে প্রতিস্থাপন করেছে। ফলে পুরনো নীতিমালার অধীনে অনুমোদিত ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, পর্যবেক্ষক হতে হলে তাকে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত সংস্থার মনোনীত প্রতিনিধি হতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা, প্রার্থী বা দলীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত বা আর্থিক স্বার্থ থাকা ব্যক্তিরা পর্যবেক্ষক হতে পারবেন না।
এছাড়া, যেসব ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার বা বাসিন্দা, তারাও ঐ এলাকায় পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারবেন না।
ইসি’র সহকারী জনসংযোগ পরিচালক মো. আশাদুল হক জানান, “নতুন নীতিমালায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে। পূর্ববর্তী নীতির তুলনায় এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ানো হয়েছে, তবে বয়সসীমা কিছুটা কমানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ১২তম সংসদ নির্বাচনের জন্য অনুমোদিত পর্যবেক্ষক নিবন্ধন এখন আর কার্যকর নয়।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এই নীতিমালাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।