পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনে উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিতব্য কমিশন সভায় সংশোধিত আরপিও খসড়া অধ্যাদেশ নিয়ে আলোচনা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আরপিওতে পরিবর্তন আনে, যার ফলে ইসির নিরঙ্কুশ ক্ষমতা হ্রাস পায়। বিশেষ করে, ভোটগ্রহণ চলাকালীন অনিয়ম হলে একটি বা একাধিক কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করার ক্ষমতা সীমিত করা হয়।
বর্তমান আরপিও অনুযায়ী, কমিশন ভোটগ্রহণের সময় অনিয়ম হলে একাধিক কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারে।
কিন্তু সংশোধিত আরপিওতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র সেইসব কেন্দ্রের ফলাফলই স্থগিত করা যাবে যেখানে অনিয়মের রিপোর্ট পাওয়া যাবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা বন্ধে ব্যর্থ হবে।
তবে কিছু কেন্দ্রে অনিয়ম হলেও পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করার সুযোগ আর থাকবে না।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন অনিয়মের কারণে বাতিল করার সিদ্ধান্তের পরই এই সংশোধনী আনা হয়।
নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বর্তমান কমিশন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য ২০২৫ সালের সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধির খসড়া ইতোমধ্যে নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে। সংশোধিত আরপিওর আলোকে এটি চূড়ান্ত করা হবে।
কমিশনের সভায় আরও কয়েকটি আইন সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, প্রার্থীদের হলফনামা এবং কমিশনের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে সংশোধনী।
নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, এসব সংশোধনী আগাম নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করতে সহায়ক হবে বলে কমিশনের বিশ্বাস।