Tuesday, July 29, 2025
Homeজাতীয়জাতীয় নির্বাচনের আচরণ বিধি নিয়ে ইসির চূড়ান্ত পর্যায়ের পর্যালোচনা

জাতীয় নির্বাচনের আচরণ বিধি নিয়ে ইসির চূড়ান্ত পর্যায়ের পর্যালোচনা

এআই, সোশ্যাল মিডিয়া ও পোস্টার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সুপারিশ গুরুত্ব পাচ্ছে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে পাওয়া ৫০টিরও বেশি সুপারিশ পর্যালোচনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব সুপারিশের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য চূড়ান্ত আচরণ বিধিমালা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সুপারিশগুলোর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ, ডিজিটাল প্রচারের জন্য আলাদা গাইডলাইন এবং নির্বাচন পোস্টার নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ানোর বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

চলতি বছরের ৩০ জুন ইসি ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা, ২০২৫’ শিরোনামে একটি খসড়া প্রকাশ করে। ১০ দিনের মধ্যে ৪২টির বেশি মতামত জমা পড়ে।

এই মতামতের মধ্যে বিএনপি, বাংলাদেশ জাসদ, বিকল্প ধারা, ইসলামী ঐক্যজোটসহ অন্তত ৮টি রাজনৈতিক দল এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) সহ কয়েকটি নাগরিক সংগঠন ও ২৯ জন ব্যক্তি মতামত দেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রাথমিক খসড়ায় এআই বিষয়টি না থাকলেও এখন অনেকেই এটি নিয়ে সুপারিশ করেছে, যা চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে।

২৬ জুলাই খুলনায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “প্রযুক্তির অপব্যবহার এখন বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে বক্তৃতা ক্লোন করা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।”

তিনি আরও জানান, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় এই সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।

এদিকে টিআইবি ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল প্রস্তাব করেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

তারা এআই ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য আচরণ বিধিতে একটি আলাদা ধারা যুক্ত করা, মিডিয়া সেল গঠন, অপব্যবহারকে নির্বাচনি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা এবং সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে জবাবদিহির আওতায় আনার সুপারিশ করেছে।

বিএনপি খসড়া আচরণ বিধির সব ধারার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছে।

দলটি প্রস্তাব করেছে, নির্বাচনী প্রচারণায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে হেলিকপ্টার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক।

তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনের নজির উল্লেখ করে, প্রার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী ইলেকশন ডিবেটের জন্য মিডিয়া টাইম বরাদ্দের দাবিও জানিয়েছে।

নির্বাচনী পোস্টার নিষিদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ চেয়ে বিভিন্ন দল ব্যানার, ডিজিটাল ডিসপ্লে, টি-শার্টসহ অন্যান্য প্রচারণা সামগ্রীকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার সুপারিশ করেছে।

টিআইবি প্রার্থীদের হলফনামায় উল্লিখিত সম্পদ ও ঋণের তথ্য যাচাইয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালুর পরামর্শ দিয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, আচরণ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের আগে জনগণের প্রতিনিধিত্ব সংক্রান্ত আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

সরকার অনুমোদন দিলে এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হতে পারে।

RELATED NEWS

Latest News