Tuesday, October 7, 2025
Homeঅর্থ-বাণিজ্যবাংলাদেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবায় একসঙ্গে কাজ করবে ইবিএফসিআই ও সিআরপি

বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবায় একসঙ্গে কাজ করবে ইবিএফসিআই ও সিআরপি

স্বাস্থ্য, পুনর্বাসন ও সক্ষমতা উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে যৌথভাবে কাজ করতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ইউরোপ বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইবিএফসিআই) এবং সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)।

সোমবার রাজধানীতে ইবিএফসিআই দেশের পরিচালক মোহাম্মদ আলী এবং সিআরপি নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ শহরাব হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সমাজকর্মী ভ্যালেরি অ্যান টেলর, ইবিএফসিআই সভাপতি ওয়ালি তাসার উদ্দিন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালিম শরীফ এবং পরিচালক মো. সালাউদ্দিন চৌধুরীসহ অন্য কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে ওয়ালি তাসার উদ্দিন বলেন, এই অংশীদারিত্ব স্বাস্থ্যসেবা, পুনর্বাসন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা বাড়ানোর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি জানান, উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করবে এবং শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য বিনিময় কর্মসূচি পরিচালনা করবে, যার মধ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, এসব উদ্যোগের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বিনিময়, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে।

ভ্যালেরি অ্যান টেলর জানান, তিনি ১৯৭৯ সালে সিআরপি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ মানুষ সিআরপি থেকে সেবা নিচ্ছেন। সংস্থাটির ১,২০০ জন কর্মী রয়েছে, যার মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত। সিআরপির ১৩টি কেন্দ্র রয়েছে ঢাকাসহ রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, মানিকগঞ্জ ও পাবনায়।

তিনি বলেন, “আমরা মূলত দুর্ঘটনা বা সহিংসতার কারণে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জ থাকা মানুষদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কাজ করি। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে এই সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য আরও উন্নত চিকিৎসা দরকার, আমরা সেই প্রচেষ্টাই চালাচ্ছি।”

ইবিএফসিআই ও সিআরপি উভয় প্রতিষ্ঠান আশা প্রকাশ করেছে যে, এই সহযোগিতা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনে নতুন সুযোগ তৈরি করবে।

RELATED NEWS

Latest News