ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেন, রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে দিনদুপুরে স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পাথর দিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী চাঁদাবাজির অভিযোগে।
বিকেল সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল এলাকা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা উপাচার্যের চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “আওয়ামী লীগের সময় যেভাবে আমরা হত্যার প্রতিবাদ করেছি, আজও করছি। বিএনপি নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। ১৬ বছর যারা নির্যাতিত ছিল, তারা যেন এখন নির্যাতনকারী না হয়।”
ঢাবি শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, “৫ আগস্ট থেকে আমরা দেশের শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু একটি দল বারবার বাঁধা সৃষ্টি করছে। সোহাগকে দুই দিন আগে হত্যা করা হয়েছে। ভিডিও দেখে বোঝা যায়, চাঁদা না দেওয়ায় পাথর দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা তার মৃতদেহের ওপর নৃত্য করেছে। আমরা কি আবার পাথরের যুগে ফিরে যাচ্ছি?”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত। বাংলাদেশ যেন চাঁদাবাজদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে জুবায়ের বলেন, “আপনার দলকে নিয়ন্ত্রণ করুন। আওয়ামী লীগের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে আপনাদেরও একই পরিণতি হবে।”
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, সোহাগকে জুবদলের সদস্যরা পাথর দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা হত্যার পর মৃতদেহের ওপর দাঁড়িয়ে উল্লাস করেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও ছাত্রসমাজ এমন জঘন্য অপরাধের বিচার দাবি করে একত্রিত হয়েছে।
তারা দাবি করেন, গত ১০ মাসে বিএনপির হাতে নিহত শতাধিক মানুষের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রত্যেক হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনতে হবে।