ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে পুরুষ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুব আলম পুলিশ রিমান্ডের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুনানিতে অধ্যাপকের আইনজীবী শিশির কুমার রায় জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, অভিযোগটি ভিত্তিহীন এবং তাকে হয়রানি করার জন্যই মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার দাবি, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং এটি অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফল।
অন্যদিকে মামলার নথিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি ল্যাব পরীক্ষার বিষয় নিয়ে সহায়তা চাইতে ছাত্রটি অধ্যাপক এরশাদের কাছে যান। পরে অধ্যাপক তাকে ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় নিজের বাসায় আসতে বলেন। ছাত্রটি সেখানে গেলে অধ্যাপক তাকে যৌনভাবে হয়রানি করেন এবং কাউকে কিছু না বলতে হুমকি দেন।
পরদিন অধ্যাপক আবার ফোন করে পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং পুনরায় বাসায় যেতে বলেন, যা ছাত্রটি প্রত্যাখ্যান করেন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া অবস্থায় ছাত্রটি গ্রামে চলে গেলে অধ্যাপক তাকে ফিরে এসে বাসায় রাত কাটানোর জন্যও চাপ দেন।
ছাত্রটি ১০ অক্টোবর ঢাকায় ফেরার পরও একই ধরনের চাপ বজায় ছিল। ১৪ অক্টোবর অধ্যাপকের বাসায় গেলে ছাত্রের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় এবং অশালীন আচরণ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।
শিক্ষার্থী শুক্রবার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে অধ্যাপক এরশাদ হালিম একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করেছেন।
পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
