ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঈদুল আজহার তিন দিনে মোট ৩১ হাজার ২২৬ টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছে। সোমবার (৯ জুন) রাজধানীর ওয়াসা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ঈদের দিন প্রথম ধাপের সব বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। পরবর্তী দুই দিনেও কোরবানির সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় প্রতিটি ধাপে বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে।”
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৩২ হাজার এবং তৃতীয় দিনে ১৬ হাজার পশু কোরবানি করা হয়। এসব পশুর সব বর্জ্য ধাপে ধাপে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এ বছর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ছিল ১২ হাজার ৮৫৩ জন পরিচ্ছন্নকর্মী। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের ১০ হাজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ২ হাজারের বেশি কর্মী ছিল। শাহজাহান মিয়া বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার বর্জ্যের পরিমাণ ছিল বেশি। গত বছর যেখানে প্রায় ২২ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছিল, সেখানে এবার তা ছাড়িয়েছে ৩১ হাজার টন।”
বাসিন্দাদের মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার বর্জ্যব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। প্রশাসক জানান, এখনও কিছু এলাকায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বর্জ্য সংক্রান্ত ২১টি অভিযোগ পেয়েছে ডিএসসিসি। প্রতিটি অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন শাহজাহান মিয়া।
তিনি বলেন, “অনেক এলাকায় সকালবেলা নতুন বর্জ্য জমা হয়েছিল। সেগুলোকেও দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন আর ঢাকা দক্ষিণে কোথাও পড়ে থাকা বর্জ্যের দৃশ্য দেখা যাবে না।”
জলাবদ্ধতা নিয়েও কথা বলেন তিনি। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে কিছু এলাকায় পানি জমলেও সেগুলো নিরসনে কাজ করছে ডিএসসিসি।
তিনি আরও জানান, ঈদের পরদিন থেকে স্বাভাবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে।