ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে রামন বিমানবন্দরে ইয়েমেন থেকে পাঠানো এক ড্রোন আঘাত হানলে একজন আহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম এক বিবৃতিতে জানায়, ৬৩ বছর বয়সী এক পুরুষ আহত হয়েছেন, তার পায়ে ও হাতে শার্পনেলের আঘাত লেগেছে। তিনি সচেতন অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
ইসরায়েলি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জানান, ড্রোনটি বিমানবন্দরের আগমন হল-এ আঘাত করে এবং সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই দিন ইয়েমেন থেকে প্রায় একই সময়ে চারটি ড্রোন ছোড়া হয়। এর মধ্যে তিনটি ড্রোনের দুটি সীমান্তে প্রবেশের আগেই প্রতিহত করা হয় এবং আরেকটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি। পরবর্তীতে নিশ্চিত করা হয় যে একটি ড্রোন রামন বিমানবন্দরের এলাকায় পড়ে। তবে কোনো সতর্কতা সাইরেন বাজানো হয়নি এবং বিষয়টি পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
হামলাটি আসে এমন সময়ে যখন ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা গত মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের প্রধানমন্ত্রী নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। হামলার পর হুতি রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য হিজাম আল-আসাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “আসল প্রতিশোধ এখনো শুরু হয়নি, যা আসছে তা আরও ভয়াবহ হবে।”
গত দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হুতি সরকারের প্রধানসহ ১১ জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা নিহত হন।
রোববারের এ হামলা ছিল ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের কৌশলগত স্থাপনায় প্রথম ড্রোন আক্রমণ, এর আগে মে মাসে ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে আঘাত হানে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুতিরা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে নিয়মিতভাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। এর জবাবে ইসরায়েল ইয়েমেনে পাল্টা হামলা চালিয়ে বন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ঘোষণা দেন, হুতিদের ওপর বাইবেলের মিসরীয় দশ প্লেগের মতো কঠোর শাস্তি নেমে আসবে।