ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণই পুলিশের সাফল্যের মূল ভিত্তি।
শনিবার গুলশান থানায় অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির (এলওসিসি) বিশেষ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিএমপি কমিশনার জানান, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকাকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তা ও অর্থায়নে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়। এর ফলে এলাকায় অপরাধ কমে এসেছে এবং অপরাধী শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে গতি বেড়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের অংশগ্রহণ অপরাধ দমন ও কমিউনিটি সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এলওসিসি সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত জানান, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনের বিভিন্ন সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে কমিটি গঠিত হয়। প্রথমে মাত্র ২৫টি ক্যামেরা দিয়ে কাজ শুরু হলেও এখন ক্যামেরার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০।
এলওসিসি সাধারণ সম্পাদক শামসুল আরেফিন চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জনগণের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এবং ডিএমপির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চলছে। তিনি প্রযুক্তিগত দিকগুলো সভায় উপস্থাপন করেন।
এলওসিসির সহ-সভাপতি শওকত হোসেন দিলন জানান, ক্যামেরা নেটওয়ার্কের কারণে এলাকায় পথঅপরাধ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
১৩ বছরের যাত্রায় এলওসিসি প্রমাণ করেছে আধুনিক প্রযুক্তি ও জন-অংশগ্রহণ মিলেই একটি কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব।
সভায় উপস্থিতরা বলেন, গুলশান-বারিধারা মডেল রাজধানীর অন্য এলাকাগুলোর জন্যও দৃষ্টান্ত হতে পারে।
সভা শেষে ডিএমপি কমিশনার গুলশান থানা ভবনে স্থাপিত সিসিটিভি কক্ষও পরিদর্শন করেন।