গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করতে চলেছেন নোভাক জকোভিচ। রেকর্ড ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের লক্ষ্যে উইম্বলডনে ফিরছেন এই সার্বিয়ান টেনিস তারকা। ৩৮ বছর বয়সী জকোভিচ ইতোমধ্যেই মার্গারেট কোর্টের সঙ্গে যৌথভাবে ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের মালিক।
২০২৩ সালের ইউএস ওপেনে সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পর জকোভিচ এখনো আরেকটি শিরোপার অপেক্ষায়। তবে গত তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ফ্রেঞ্চ ওপেনে সেমিফাইনালে সিনারের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে।
শনিবার অল ইংল্যান্ড ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জকোভিচ বলেন, “উইম্বলডনেই ইতিহাস গড়ার সবচেয়ে ভালো সুযোগ রয়েছে। এখানকার পরিবেশ, আমার খেলার মানসিক প্রস্তুতি, সবকিছুই আমাকে সর্বোচ্চ দিতে উদ্বুদ্ধ করে।”
পিএসজিতে এখন আর র্যাঙ্কিংয়ের পেছনে ছুটছেন না তিনি। বরং লক্ষ্য শুধুই গ্র্যান্ড স্ল্যাম। “এখন লক্ষ্য শুধু গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। র্যাঙ্কিং নিয়ে ভাবি না,” বলেন জকোভিচ।
২০২৩ ও ২০২৪ সালে উইম্বলডন ফাইনালে আলকারাজের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। এবারও আলকারাজ ও বিশ্বসেরা সিনারের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। প্রথম রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের আলেক্সান্দ্রে মুলার।
চলতি বছরের পারফরম্যান্স নিয়ে জকোভিচ বলেন, “গত দেড় বছরে খেলার মান অনেক ওঠানামা করেছে। অস্ট্রেলিয়ায় সেমিফাইনালে উঠে চোটে বিদায় নিতে হয়েছিল। ফ্রেঞ্চ ওপেনে সিনার আমাকে টেকনিক্যালি পরাস্ত করেছে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এখনো উচ্চ মানের টেনিস খেলার ক্ষমতা রাখি।”
উল্লেখ্য, এবারে জকোভিচ উইম্বলডনে ৬ নম্বর বাছাই হিসেবে খেলবেন, যা ২০১৮ সালের পর তার সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং।
তার শেষ উইম্বলডন শিরোপা আসে ২০২২ সালে। আর এবারে জয়ী হতে পারলে রজার ফেদেরারের ৮টি উইম্বলডন শিরোপার রেকর্ডেও তিনি ভাগ বসাবেন।
জকোভিচ বলেন, “আমার ইচ্ছা হলো আরও কিছু বছর খেলে যাওয়া, শারীরিকভাবে সুস্থ ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে এই পর্যায়ে খেলতে পারব। তবে কখন থামতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”
টেনিসপ্রেমীদের জন্য উইম্বলডনের এবারের আসর হতে পারে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ। চোখ থাকবে সেই পুরনো যোদ্ধার দিকে, যিনি বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন টেনিস ইতিহাসের অন্যতম সেরা হিসেবে।