ঢাকা শহরের বায়ুর মান কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৭১, যা শহরটির জন্য একটি তুলনামূলক ভালো খবর। এ অবস্থানে থাকা ঢাকাকে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩১তম স্থানে রাখা হয়েছে।
এই স্কোর অনুযায়ী ঢাকার বায়ু “মডারেট” পর্যায়ে রয়েছে। অর্থাৎ, এতে হালকা স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকলেও এটি খুব বেশি মারাত্মক নয়। বিশেষ করে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য কিছুটা সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়।
একিউআই অনুযায়ী, স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে বাতাস ‘মডারেট’ ধরা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে তা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত হয়। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সেটিকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ এর উপরে গেলে সেটিকে ‘বিপজ্জনক’ ধরা হয়, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
চিলির সান্তিয়াগো, মিশরের কায়রো এবং পাকিস্তানের লাহোর শহর যথাক্রমে ১৮৯, ১৫৬ এবং ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে শীর্ষ তিন স্থানে রয়েছে। এদের বাতাস বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দূষিত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বাংলাদেশের একিউআই মূলত পাঁচটি দূষক উপাদানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়: পিএম১০, পিএম২.৫, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (CO), সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂) এবং ওজোন (O₃)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ু দূষণের সমস্যায় ভুগছে। সাধারণত শীতকালে এখানকার বাতাস অনেক বেশি দূষিত হয়ে পড়ে। তবে বর্ষাকালে বাতাসের মান কিছুটা উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, বায়ু দূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এদের বেশিরভাগই স্ট্রোক, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসতন্ত্র সংক্রমণে আক্রান্ত হন।
বাতাসের এই সাময়িক উন্নতি নাগরিকদের জন্য কিছুটা স্বস্তির হলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দীর্ঘমেয়াদে টেকসই পদক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতির প্রকৃত উন্নতি সম্ভব নয়।