প্রথমবারের মতো ঢাকায় চালক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ‘মোটরযান গতি সীমা নির্দেশিকা ২০২৪’ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বৃহৎ গণমাধ্যম প্রচারণা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলন কক্ষে এ প্রচারণার উদ্বোধন করা হয়।
প্রচারণাটি পরিচালিত হচ্ছে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (BIGRS)-এর আওতায়, যেখানে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বিআরটিএ, ডিটিসিএ, ডিএমপি ও অন্যান্য সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রচারণার অংশ হিসেবে ৩০ থেকে ৯০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের সচেতনতামূলক ভিডিও টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও শহরের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে প্রচার করা হবে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ২০২৩ সালে দ্রুতগামী ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত সড়ক নিরাপত্তা কর্মী আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা নীলা নিজের ব্যক্তিগত ক্ষতির কথা তুলে ধরে সবাইকে গতি সীমা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অতিরিক্ত গতি এখনো সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ, বিশেষ করে পথচারী ও মোটরসাইকেল আরোহীদের ক্ষেত্রে।
সরকারি প্রতিনিধিরা জানান, নতুন নির্দেশিকায় শহর এলাকায় জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সর্বোচ্চ ৪০ কিমি/ঘণ্টা এবং অন্যান্য অধিকাংশ রাস্তায় ৩০ কিমি/ঘণ্টা গতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
তারা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রচারণা জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করবে, দায়িত্বশীল চালনা উৎসাহিত করবে এবং ঢাকার সড়কগুলোকে আরও নিরাপদ করবে।