Thursday, August 21, 2025
Homeজাতীয়ঢাকা আদালত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা খারিজ করেছে

ঢাকা আদালত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা খারিজ করেছে

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খারিজ, তদন্ত চলমান

ঢাকার নারী ও শিশু নিপীড়ন প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনাল-৭ বুধবার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামান আশা, তার স্ত্রী ফারহানা আশরাফ সুমি এবং বোন নাসিমা পারভিন পলির বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌন নির্যাতনের মামলার আবেদন খারিজ করেছে। আদালত কেন আবেদন গ্রহণ করেনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

মঙ্গলবার ভুক্তভোগী আদালতে আবেদন জমা দিয়েছিলেন। বিচারক সাবেরা সুলতানা তার বক্তব্য রেকর্ড করেছেন, তবে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়।

ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ১৭ আগস্ট ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ স্টেশন একই ধরনের আবেদন গ্রহণ করেনি এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করার পরামর্শ দিয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, আশরাফুজ্জামান ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনী থেকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের কারণে অপসারিত হয়েছেন। সেনাবাহিনী তার সম্ভাব্য অপরাধের বিষয়ে একটি “উচ্চপর্যায়ের” তদন্তও চালাচ্ছে।

আর্মি সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার প্রাক্তন স্ত্রী, যিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। স্বাভাবিকভাবে ওই কর্মকর্তার ক্যান্টনমেন্টে থাকার অধিকার বাতিল হয়েছে। তবে তখন চলমান এসএসসি পরীক্ষার কারণে মানবিক কারণে তার পরিবার কিছুদিন থাকার অনুমতি পেয়েছিল।

আদালতে দাখিল করা আবেদন অনুযায়ী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামান আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভুক্তভোগী এবং তার পরিবার সরকারি বাসভবনে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারবেন। তবে ৭ জুন রাতে আশরাফুজ্জামান ওই অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন, যা তার কন্যা প্রত্যক্ষ করে।

এর তিন দিন পর, আশরাফুজ্জামান ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক তালাক দিতে চাপ প্রদান করেন এবং একদিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকার দাহমুক্তির বিনিময়ে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেন। কিছুদিন পর ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে যান।

৬ জুলাই, অভিযুক্ত ভুক্তভোগীর গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করেন এবং শারীরিক নির্যাতন চালান। পরে তাকে এবং তার কন্যাকে ক্যান্টনমেন্ট অ্যাপার্টমেন্ট ত্যাগ করতে বারবার হুমকি দেওয়া হয়।

আদালতের সিদ্ধান্তে আবেদন খারিজ হলেও ঘটনার তদন্ত ও অভিযোগের প্রক্রিয়া সেনাবাহিনীর নজরে রয়েছে।

RELATED NEWS

Latest News