জেমস বন্ড সিরিজের নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। আর সেই নতুন যাত্রার হাল ধরেছেন ফরাসি-কানাডীয় পরিচালক ডেনিস ভিলনভ। তাকে নিয়ে যেমন উচ্ছ্বাস, তেমনই রয়েছে প্রশ্ন। তিনি কি জনপ্রিয় এ স্পাই-ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য সঠিক পছন্দ?
এই বছরের শুরুতে অ্যামাজনের কাছে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি হওয়া বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির ২৬তম চলচ্চিত্র পরিচালনা করতে যাচ্ছেন ভিলনভ। তবে এতদিনের ইতিহাস বলছে, স্টিভেন স্পিলবার্গ, ক্রিস্টোফার নোলান, কোয়েন্টিন টারান্টিনো, পিটার জ্যাকসনের মতো বহু খ্যাতনামা পরিচালক এই দায়িত্ব পাননি।
ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে ভিলনভ বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে জেমস বন্ড সিনেমা দেখতাম। আমি একজন নিবেদিতপ্রাণ বন্ড ভক্ত। এ চরিত্র আমার কাছে পবিত্র। আমি এর ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে চাই এবং সামনে আরও অনেক মিশনের পথ খুলে দিতে চাই।”
ভিলনভের ক্যারিয়ার দেখলে বোঝা যায়, তিনি পুরনো গল্প নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরতে অভ্যস্ত। ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’ এবং ‘ডিউন’-এর মতো সিনেমায় তার ধীরগতির দৃশ্যায়ন ও গভীর চিন্তার প্রতিফলন স্পষ্ট। অনেক দর্শকের কাছে এটি প্রশংসনীয়, আবার অনেকে এটিকে অত্যধিক ধীর মনে করেন।
তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই, ভিলনভের সিনেমা সবসময় দৃষ্টিনন্দন হয়। আর জেমস বন্ড সিরিজ এমনিতেই পরিচিত চোখ ধাঁধানো লোকেশন, লাস্যময় চরিত্র এবং অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য। তাই অনেকে আশা করছেন, ভিজ্যুয়াল দিক থেকে এটি হতে পারে সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর বন্ড সিনেমা।
তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—ভিলনভের শৈল্পিক উপস্থাপনা কি অ্যাকশনপ্রিয় বন্ড ভক্তদের সন্তুষ্ট করতে পারবে? সিনেমার গতি ও আবেগ কি দর্শকদের ধরে রাখতে পারবে? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ২৬তম বন্ড চলচ্চিত্র মুক্তির পরেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেনিস ভিলনভ নতুন এক মাত্রা যুক্ত করতে পারেন। তবে এটি কতটা জনপ্রিয় হবে, তা নির্ভর করবে তিনি কিভাবে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশ্রণ ঘটান তার ওপর।