বেভারলি হিলসের ফোর সিজনসে অনুষ্ঠিত ইসরায়েল ফিল্ম ফেস্টিভালের প্রাক-আয়োজন লাঞ্চে সম্মানিত হয়েছেন এমি-জয়ী অভিনেত্রী ডেবরা মেসিং।
৬ জুন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই সময়ে, যখন অনেক ইসরায়েলি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না বা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে, তখন তাদের পাশে দাঁড়ানো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাদের গল্প আমাদের শুনতে হবে এবং বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ তারা এমন গল্প বলে যা সত্যি। সাহস, উদ্ভাবন, টিকে থাকা, পরিবার এবং পরিচয়ের গল্প।”
তিনি আরও বলেন, “সত্য বলার সাহস দেখানো শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সম্প্রদায়ের শক্তি দেখিয়েছে, আমরা একসঙ্গে আছি এবং আরও গর্বিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। সামনে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের এমন গল্পের জায়গা তৈরি করতে হবে।”
এবারের ফেস্টিভালের নির্বাহী পরিচালক মেয়ার ফেনিগস্টেইন বলেন, “এই ফেস্টিভাল আমাদের জন্য কেবল বিনোদনের জায়গা নয়, বরং সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ইসরায়েলি সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্র লস অ্যাঞ্জেলেসের দর্শকদের সামনে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেভারলি হিলসের মেয়র শারোনা নাজারিয়ানও। তিনি শহরের পক্ষ থেকে ফেস্টিভালকে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং কূটনৈতিকভাবে সংস্কৃতির ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এছাড়া, মানবিক পুরস্কারে সম্মানিত হন সাইমন উইজেনথাল সেন্টারের টলারেন্স মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা ও দুইবারের অস্কার বিজয়ী রাব্বি মারভিন হায়ার। অনুষ্ঠানে তিনি এলিজাবেথ টেলরের সঙ্গে কাজ করার স্মৃতিচারণ করেন।
ডেবরা মেসিং তার বক্তব্যে বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে ঘৃণা, মিথ্যাচার এবং অস্বীকার করার প্রবণতা আমাদের ক্লান্ত করে তুলেছে। কিন্তু একই সঙ্গে আমি দেখেছি আমাদের সম্প্রদায়ের অসাধারণ শক্তি। আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াই এবং ভালোবাসা দিয়ে এগিয়ে চলি। আমরা এখনও আছি এবং আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছি।”
উল্লেখ্য, ডেবরা মেসিং সম্প্রতি ‘October H8TE’ নামের একটি ডকুমেন্টারি প্রযোজনা করেছেন, যেখানে মার্কিন কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে অ্যান্টিসেমিটিজম বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
৩৭তম ইসরায়েল ফিল্ম ফেস্টিভাল আগামী ৫ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত হবে।