সুপারম্যান চরিত্রকে ঘিরে দর্শকের আগ্রহের যেন শেষ নেই। হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এই চরিত্রে নতুন করে অভিনয় করতে যাচ্ছেন ডেভিড করেনসওয়েট। তবে তিনি জানিয়েছেন, এই চরিত্র নেওয়ার আগে নিজেই কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন।
সম্প্রতি জিকিউ হাইপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করেনসওয়েট বলেন, “সুপারম্যানের মতো চরিত্র যেন সবার স্বপ্নের মতো, কিন্তু বাস্তবে এমন নয়। অনেকেই এই চরিত্র পেতে চান না। আমি অবশ্য তাদের একজন নই, তবে চরিত্রটি নেওয়ার আগে আমি নিজেকেই জিজ্ঞেস করেছিলাম, যদি এই একটি চরিত্রই আমার জীবনে শেষ হয়, তাও কি আমি রাজি থাকব? উত্তর ছিল হ্যাঁ।”
ডিসি ওয়ার্নার ব্রাদার্স প্রযোজিত নতুন সুপারম্যান সিনেমাটি ১১ জুলাই বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে। তার আগেই প্রকাশিত হয়েছে এই সাক্ষাৎকার, যেখানে করেনসওয়েট ছাড়াও সিনেমার নির্মাতা জেমস গান, অভিনেতা নিকোলাস হোল্ট ও অভিনেত্রী র্যাচেল ব্রসনাহান কথা বলেছেন।
পরিচালক জেমস গান জানান, “আমি এমন কাউকে নিতে পারতাম না, যিনি কেবল দেখতে সুপারম্যানের মতো, কিন্তু ভেতরে সেই শক্তি নেই। করেনসওয়েট একদিকে থিয়েটারের ছেলে, আবার শারীরিকভাবে উপযুক্ত — এই কম্বিনেশনটি খুবই দুর্লভ।”
নিকোলাস হোল্ট করেনসওয়েটের প্রশংসা করে বলেন, “তাঁর মধ্যে পুরনো হলিউড তারকাদের মতো একটি আবহ আছে, যা এই সুপারম্যান সংস্করণে আরও তাৎপর্যপূর্ণ।”
লুইস লেইনের ভূমিকায় অভিনয় করা র্যাচেল ব্রসনাহান বলেন, “চিত্রনাট্য পড়া থেকে শুরু করে প্রতিটি দৃশ্য পর্যন্ত, করেনসওয়েট বরাবরই প্রস্তুত ছিলেন। তিনি চরিত্রটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন, এবং সেটাই সবসময় দৃশ্যমান ছিল।”
সিনেমাটির মূল বার্তা প্রসঙ্গে করেনসওয়েট বলেন, “আমরা এমন এক সুপারম্যান দেখাতে চেয়েছি, যে নিজের মধ্যে দ্বন্দ্বে ভোগে না। সে একজন ভালো মানুষ, যার সুন্দর শৈশব, ভালোবাসা ও বন্ধুত্বে পরিপূর্ণ জীবন এবং পেশাটিও তার ভালো লাগে।”
তিনি আরও বলেন, “ব্রুস ওয়েইনের মতো তার ভিতরে হারানোর ব্যথা নেই। মেট্রোপলিস শহরও যেন এক উন্নত সমাজ, যেখানে মাঝে মাঝে দানবেরা আক্রমণ করে — আর তখনই সে এগিয়ে আসে।”
ডেভিড করেনসওয়েটের এই দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রস্তুতি নতুন সুপারম্যান হিসেবে তাকে দর্শকের কাছে আলাদা গুরুত্ব দেবে বলে মনে করছেন সিনেমা বিশ্লেষকেরা।