Thursday, July 10, 2025
Homeআন্তর্জাতিককানাডায় ২৫ মিলিয়ন ডলারের বিরল খনিজ রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন করছে সাইক্লিক ম্যাটেরিয়ালস

কানাডায় ২৫ মিলিয়ন ডলারের বিরল খনিজ রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন করছে সাইক্লিক ম্যাটেরিয়ালস

অ্যামাজন ও মাইক্রোসফটের সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে গবেষণা ও পুনর্ব্যবহার কেন্দ্র

কানাডার অন্টারিওতে বিরল খনিজ পুনর্ব্যবহারের জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলারের একটি আধুনিক প্লান্ট ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে কানাডার স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সাইক্লিক ম্যাটেরিয়ালস। প্রতিষ্ঠানটি অ্যামাজন ও মাইক্রোসফটের সমর্থনপুষ্ট।

নতুন এই প্লান্টটি অন্টারিওর কিংস্টনে নির্মিত হবে এবং ২০২৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে। এতে প্রতি বছর ৫০০ টন ম্যাগনেট সমৃদ্ধ ফিডস্টক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহৃত মিক্সড রেয়ার আর্থ অক্সাইড (rMREO) উৎপাদিত হবে।

এই পুনর্ব্যবহৃত পণ্যে থাকবে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন নিওডিমিয়াম, প্রাসিওডিমিয়াম, টার্বিয়াম ও ডিসপ্রোসিয়াম। এগুলো স্থায়ী ম্যাগনেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, যা বৈদ্যুতিক যানবাহনের মোটর, উইন্ড টারবাইন ও ভোক্তা ইলেকট্রনিক্সে অপরিহার্য।

সাইক্লিক ম্যাটেরিয়ালসের প্রধান নির্বাহী আহমাদ গাহরেমান বলেন, “এই কেন্দ্রের মাধ্যমে আমরা আমাদের মূল লক্ষ্য এগিয়ে নিচ্ছি, তা হলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জ্বালানি রূপান্তরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো নিশ্চিত করা। কিংস্টন আমাদের যাত্রার সূচনা স্থান ছিল, এখন এখানেই আমরা আমাদের বাণিজ্যিক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছি।”

কোম্পানিটি ইতিমধ্যেই অন্টারিওতে একটি প্রদর্শনী প্লান্ট চালু করেছে এবং এর পাশাপাশি ২০২৪ সালে দ্বিতীয় একটি প্লান্ট স্থাপন করেছে যেখানে মিক্সড রেয়ার আর্থ অক্সাইড উৎপাদন করা হচ্ছে।

২০২৩ সালে কানাডার ফেডারেল সরকার সাইক্লিক ম্যাটেরিয়ালসকে কিংস্টনে একটি প্রদর্শনী প্লান্ট নির্মাণের জন্য ৪.৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিল, যা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিকভাবে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার মেসায় একটি রিসাইক্লিং প্লান্ট নির্মাণাধীন রয়েছে, যা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে চালু হবে।

বিশ্বব্যাপী ক্লিন এনার্জি ও ডিজিটাল প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরল খনিজের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। চীন বর্তমানে এই সরবরাহ শৃঙ্খলের শীর্ষে রয়েছে এবং বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক বিবাদে এই খনিজের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

এমন সময়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিরল খনিজ সরবরাহ নিয়ে নতুন চুক্তির কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তখন নিরাপদ ও স্বাধীন উৎস তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সাইক্লিক ম্যাটেরিয়ালসের নতুন প্লান্ট এই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

RELATED NEWS

Latest News