বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দৃঢ় ইনিংস খেলেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যালেক্স কেরি।
লর্ডসে অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে বৃহস্পতিবার খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান তুলে নিয়েছে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দাঁড়িয়েছে ২১৮ রানের কঠিন লক্ষ্য।
দুই দিনের মধ্যেই ম্যাচে পড়েছে ২৮টি উইকেট। পিচ কিছুটা সহায়ক হলেও এতটা অখেলাযোগ্য নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ফলে পাঁচ দিনের ম্যাচ হয়তো তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার আগেই নিষ্পত্তি হতে পারে।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায়। কামিন্স মাত্র ১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন। ইনিংস শেষে তাঁর বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৮ রান। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারে ৩০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ২১২ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ছিল হতাশাজনক। ক্যাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিডির বোলিং তোপে ৭৩ রানে ৭ উইকেট হারায় অজিরা। তবে কেরি (৪৩) ও মিচেল স্টার্ক (১৬ অপরাজিত) অষ্টম উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় লিডের পথে নিয়ে যান।
কেরি আউট হলেও শেষ দিকে স্টার্ক ক্যাচ মিসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (৩৬) ও ডেভিড বেডেনহ্যাম (৪৫) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ পর্যন্ত কামিন্সের বিধ্বংসী স্পেলে হার মানেন।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ম্যাচের দায়িত্ব পুরোপুরি অস্ট্রেলিয়ার হাতে। একদিকে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে বোলিং আক্রমণ অন্যদিকে কেরির দৃঢ় ব্যাটিং ম্যাচের রং বদলে দিয়েছে।
লর্ডসে কামিন্স যখন দল নিয়ে মাঠ ছাড়েন, তখন দর্শকরা দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানায়। দুই বছর আগের অ্যাশেজ সিরিজের বিতর্কিত ঘটনার পর এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এখন দেখার বিষয়, দক্ষিণ আফ্রিকা এই বড় চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে কতটা প্রস্তুত।