এফএ কাপজয়ী ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ক্রিস্টাল প্যালেসকে ইউরোপা লিগ থেকে অবনমন করে কনফারেন্স লিগে পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা। ক্লাবটি এ সিদ্ধান্তকে ক্রীড়া সাফল্যের প্রতি অশ্রদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
গত জুলাইয়ে উয়েফা জানায়, প্যালেসের মালিকানা কাঠামোয় এমন সংযোগ রয়েছে যা একই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিয়ম ভঙ্গ করে। মার্কিন ব্যবসায়ী জন টেক্সটরের হাতে প্যালেস ও ফরাসি ক্লাব লিঁও-র ওপর প্রভাব থাকার অভিযোগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্যালেস সিদ্ধান্তটি পাল্টানোর জন্য আদালতে গিয়েছিল। তবে সুইজারল্যান্ডের লসান-ভিত্তিক ক্রীড়া সালিশি আদালত (CAS) সোমবার তাদের আপিল খারিজ করে দেয়। ফলে নটিংহ্যাম ফরেস্ট ইউরোপা লিগে প্যালেসের জায়গা পায়।
প্যালেস চেয়ারম্যান স্টিভ প্যারিশ আগেই এই অবনমনের সমালোচনা করেছিলেন। রায় ঘোষণার পর ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়, “ওয়েম্বলিতে কমিউনিটি শিল্ড জয়ের আনন্দের সময়, উয়েফা ও ক্রীড়া সালিশি আদালতের এই সিদ্ধান্ত দেখিয়ে দিল ক্রীড়া সাফল্যের কোনো মূল্য নেই। মে মাসে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে আমরা ইউরোপা লিগ খেলার অধিকার অর্জন করেছিলাম। কিন্তু তা থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।”
উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, একাধিক ক্লাবের মালিকানা বা প্রভাব একই ব্যক্তির হাতে থাকলে তারা একই প্রতিযোগিতায় খেলতে পারে না। লিঁও লিগে ভালো অবস্থানে থাকায় তারা ইউরোপা লিগের স্থান ধরে রাখে। প্যালেস ১ মার্চের মধ্যে মালিকানা কাঠামো পরিবর্তনের সময়সীমা মিস করে।
টেক্সটর জুলাইয়ের শেষ দিকে নিজের শেয়ার নিউইয়র্ক জেটসের মালিক উডি জনসনের কাছে বিক্রি করেন। তবু উয়েফা নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে প্যালেসকে অবনমন করে।
ক্লাবটির মতে, প্রক্রিয়াটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে তাদের পক্ষে ন্যায্য শুনানি পাওয়া কঠিন হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যেখানে বহু ক্লাব পারস্পরিক সমঝোতায় খেলে, সেখানে আমাদের মতো স্বাধীন ক্লাবগুলোকেই নিয়মের ফাঁদে ফেলে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।”
গত সপ্তাহান্তে কমিউনিটি শিল্ডে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল প্যালেস। ম্যাচটি ৯০ মিনিটে ২-২ গোলে শেষ হয়েছিল।