বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে লক্ষ্য করে দেওয়া মন্তব্য ঘিরে কক্সবাজারে ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সংগঠক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীর বক্তব্যের প্রতিবাদে শনিবার কক্সবাজার শহর ও চকরিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করে যুবদল।
ঘটনার পরপরই কক্সবাজারে এনসিপির পূর্বনির্ধারিত দুটি পথসভা বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে, বিএনপি নেতাকর্মীরা কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কও কিছু সময়ের জন্য অবরোধ করে।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এনসিপির এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী। বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আগে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান গডফাদার ছিলেন। এখন শুনি, শিলং থেকে একজন নতুন গডফাদার কক্সবাজারে এসেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “জমি দখল, চাঁদাবাজির খবর আসছে। কক্সবাজারবাসী এসব সহ্য করবে না। সংস্কারবিরোধীদের রাস্তায় প্রতিরোধ করা হবে।”
এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে হামলা চালান ও ভাঙচুর করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে শহরের বিভিন্ন সড়কে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
আরও পড়ুন | কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য নির্বাচনের আগে বড় চ্যালেঞ্জ: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
এদিকে, চকরিয়া, রামু ও ঈদগাঁও উপজেলাতেও এনসিপির পথসভা স্থলে হামলার খবর পাওয়া যায়। এতে চকরিয়া এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ টহল দেয়।
ঘটনার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হন। কক্সবাজারের অন্যত্র আর কোনো সমাবেশ করা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে সেনা পাহারায় এনসিপি নেতাদের বহর জেলা ত্যাগ করে বর্তমানে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
বিএনপির কক্সবাজার জেলা ইউনিট নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।