Tuesday, November 4, 2025
Homeজাতীয়রেজাউল করিম, তার স্ত্রী ও শামীম ওসমানের কর নথি জব্দের আদেশ

রেজাউল করিম, তার স্ত্রী ও শামীম ওসমানের কর নথি জব্দের আদেশ

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ

ঢাকার একটি আদালত সোমবার প্রাক্তন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসএম রেজাউল করিম, তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীন এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জমা দেওয়া সাতটি পৃথক আবেদন গ্রহণের পর ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফাইজ এই আদেশ পাস করেন।

এসএম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার পরিচিত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন এবং ১২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীনও তার সহায়তায় পরিচিত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ৪ কোটি ৬ লাখ টাকা অর্জন ও দখলে রেখেছেন।

শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার পরিচিত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ সংগ্রহ করেছেন।

তিনি কথিতভাবে তার নামে এবং তার স্বার্থের সঙ্গে সংযুক্ত নয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার তদন্ত করে আসছে। আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে ব্যাংক লেনদেন, সম্পদের তথ্য এবং আয়ের উৎসের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

কর নথি জব্দের এই আদেশ তদন্তকারী সংস্থাকে অভিযুক্তদের আর্থিক লেনদেন এবং সম্পদের উৎস সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে সহায়তা করবে।

এসএম রেজাউল করিম আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং সংসদ সদস্য ছিলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সম্প্রতি প্রাক্তন সরকারের বিভিন্ন নেতা ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।

কর নথি জব্দ করা হলে তা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে অভিযুক্তদের প্রকৃত আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য বের করা সহজ হবে।

আদালত এই ধরনের মামলায় তদন্তকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন। কর নথি জব্দের আদেশ সেই প্রক্রিয়ারই একটি অংশ।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি আগামী দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে। তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

RELATED NEWS

Latest News