Friday, June 20, 2025
Homeঅর্থ-বাণিজ্যপুঁজিবাজারে করপোরেট কর ব্যবধানে ১০ শতাংশ ফারাক চায় অংশীজনরা

পুঁজিবাজারে করপোরেট কর ব্যবধানে ১০ শতাংশ ফারাক চায় অংশীজনরা

ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২৫, ১৪:১২
অর্থনীতি ডেস্ক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার কমিয়ে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির তুলনায় ন্যূনতম ১০ শতাংশ ফারাক রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। একইসঙ্গে, ব্যক্তি পর্যায়ে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত রাখার দাবিও উঠেছে।

শনিবার (১৭ মে) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে এক বৈঠকে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অংশ নেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। উপস্থিত ছিলেন কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ, ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিএসই চেয়ারম্যান একে এম হাবিবুর রহমান, ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন ও আইসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ।

বৈঠক শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুঁজিবাজারবান্ধব বাজেট নিশ্চিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—

  • মূলধনি মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহার
  • বিও হিসাবের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি মওকুফ
  • ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেনের ওপর অগ্রিম কর হ্রাস
  • সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের আয়ের ব্যবহারে সুবিধা বৃদ্ধি

এছাড়া সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। অংশীজনদের মতে, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং দীর্ঘমেয়াদে বাজার আরও স্থিতিশীল হবে।

আইসিবির পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি তার মোট আয়ের ৮০ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ সংরক্ষিত রাখা হবে নিরাপত্তা সঞ্চিতি হিসেবে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রতি মাসের শেষ বৃহস্পতিবার বিএসইসি ও বাজার অংশীজনদের নিয়ে নিয়মিত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাজার তদারকির পাশাপাশি নীতিনির্ধারণে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

RELATED NEWS

Latest News