ভেনীর ট্রাঙ্ক রোডের দোয়েল চত্তর এলাকায় ঘটেছে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ৭০ বছর বয়সী ফল বিক্রেতা সাদেক মিয়া প্রতিদিনের মতো ফুটপাতে ফল বিক্রি করছিলেন। হঠাৎ করেই এক তরুণ এসে তাঁর হাতে স্কুল ব্যাগের মতো একটি কালো ব্যাগ দিয়ে দৌড়ে চলে যান।
ব্যাগটি দেওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেতর থেকে টাইম বোমার মতো শব্দ বের হয়। ঘটনাটি মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
ভীত সাদেক মিয়া পরদিন বুকের ব্যথা নিয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা নেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাঁর বয়সজনিত কারণে আগে থেকেই হৃদরোগ ছিল। তবে হঠাৎ ভয় পেয়ে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে।
হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, সেদিন বিকেলে সাদেক মিয়া বুকে ব্যথা নিয়ে আসেন। তাঁকে ইকো এবং এক্স-রে পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি ফিরে যান।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঘটনার দিন ‘ফানি কনটেন্ট’ বানাতে এসে ভিডিও তৈরি করেছিলেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইমাম হাসান।
ইমাম হাসান নিজেও স্বীকার করেছেন, এটি ছিল একটি মজার ভিডিও। তবে এর পরিণতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। তিনি বলেন, “আমি সঙ্গে সঙ্গেই সাদেক আঙ্কেলের কাছে গিয়ে বুঝিয়ে বলেছি এটি একটি প্র্যাংক ভিডিও ছিল। এরপর আমি ওই এলাকায় অনেকক্ষণ থেকেছি এবং আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি।”
ঘটনার ব্যাপারে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তোফাইল আহমেদ মিলন বলেন, “এভাবে কাউকে ভয় দেখিয়ে ভিডিও বানানো উচিত নয়। বরং সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে এমন কনটেন্ট তৈরি করা উচিত যা মানুষের উপকারে আসে।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দায়িত্বশীলতার প্রশ্ন আবারও সামনে এসেছে। শুধু বিনোদনের জন্য নয়, সমাজের প্রতি দায়িত্ব রেখেই কনটেন্ট তৈরি করা উচিত—এমনটাই মত সচেতন নাগরিকদের।