জুলাই মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হতে চাইলে শর্তসাপেক্ষে তাকে ক্ষমা দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শনিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে প্রকাশিত লিখিত আদেশে এই নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে বিচারপতিদের স্বাক্ষর রয়েছে।
আদেশে বলা হয়, সবদিক বিবেচনায় ট্রাইব্যুনাল মনে করে, যদি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জুলাই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ ও সত্য তথ্য প্রকাশ করেন এবং নিজ ও সহযোগীদের সংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেন, তবে তাকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা দেওয়া যেতে পারে।
মামুন এই ক্ষমা গ্রহণ করেছেন এই শর্তে যে, তিনি আদালতের ডাকে সব সময় হাজির হবেন এবং সাক্ষ্য দেবেন।
আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, যেহেতু তাকে ক্ষমা দেওয়া হয়েছে, তাই তার নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে কারাগারে অন্যান্য বন্দিদের থেকে পৃথক রাখতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে এ বিষয়ে যোগাযোগে থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, “জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় যেসব হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে, তা সত্য। আমি দোষ স্বীকার করছি। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হয়ে সবকিছু জানাতে চাই। আদালতকে সহযোগিতা করতে চাই।”
এদিন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারসহ তিন সদস্যের বিচারিক বেঞ্চ মামলার অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাসহ আরও দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন এবং মামলার অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে দেন।