ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে কলম্বিয়ার বোগোতায় ১৫ ও ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক জরুরি সম্মেলন। ‘হেগ গ্রুপ’-এর ব্যানারে এই সম্মেলনের সহ-আয়োজক কলম্বিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
মিডল ইস্ট আই সূত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলনে ২০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করবে, যাদের মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, কাতার, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ওমান, ফিলিস্তিন, পর্তুগাল, স্পেন এবং আরও অনেকে।
‘হেগ গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি, যার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রয়েছে বলিভিয়া, কলম্বিয়া, কিউবা, হন্ডুরাস, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, সেনেগাল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। পরবর্তীতে এদের মধ্যে কয়েকটি দেশ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রী রোল্যান্ড লামোলা বলেন, “এই সম্মেলনের লক্ষ্য কেবল বিবৃতি নয়, বরং বাস্তবায়নযোগ্য আইনি, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”
সম্মেলনে জাতিসংঘের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ, ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি, স্বাস্থ্য অধিকারবিষয়ক প্রতিবেদক ত্লালেং মোফোকেং, নারী ও মেয়েশিশুদের বৈষম্য বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ার লরা নাইরিনকিন্ডি এবং ভাড়াটে সৈন্য সম্পর্কিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য আন্দ্রেস ম্যাসিয়াস টোলোসা।
গত ২০ মাসে হেগ গ্রুপভুক্ত কিছু দেশ ইতোমধ্যেই এককভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন, মালয়েশিয়া ও নামিবিয়া তাদের বন্দরে ইসরায়েলগামী অস্ত্রবাহী জাহাজ ঢুকতে দেয়নি। কলম্বিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
গ্রুপের সমন্বয়কারী ভার্ষা গান্ডিকোটা-নেলুটলা বলেন, “আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রগুলোর ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগ গড়ে উঠেছে।” তিনি আরও বলেন, “এখন সময় এসেছে যৌথভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের, যাতে আন্তর্জাতিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা যায়।”
এই সম্মেলনের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত এবং প্রভাবশালী প্রতিক্রিয়া গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।