Wednesday, November 12, 2025
Homeজাতীয়সন্ত্রাসী দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের

সন্ত্রাসী দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের

চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী দেখলেই এসএমজি গুলি চালানোর নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

চট্টগ্রাম মহানগরীতে সন্ত্রাসী দমন জোরদারে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. হাসিব আজিজ। তিনি বলেছেন, শহরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দেখা গেলে পুলিশ সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে সাবমেশিন গান (এসএমজি) দিয়ে গুলি চালাবেন।

মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ যোগাযোগ নেটওয়ার্কে দেওয়া মৌখিক বার্তায় এই নির্দেশ দেন তিনি।

বার্তায় কমিশনার আজিজ বলেন, “আর কোনো শটগান নয়, কোনো চায়না রাইফেল নয়—এখন থেকে এসএমজি থাকবে ব্রাশফায়ার মোডে।”

তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও টহল টিমগুলোকে নির্দেশ দেন প্রতিটি টিমে শটগান, দুটি গ্যাসগান এবং টিম লিডারের কাছে ৯ মিলিমিটার পিস্তল রাখতে, যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

সিএমপি কমিশনার জানান, নগরীতে স্থায়ী চেকপোস্টের সংখ্যা সাত থেকে বাড়িয়ে ১৩ করা হবে, যাতে নিরাপত্তা আরও জোরদার হয়।

তিনি পুলিশ সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো জটিলতা হলে তার পুরো দায়ভার আমি নেব।”

যোগাযোগ করা হলে কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “বাইরে থেকে কেউ অস্ত্র নিয়ে এসে মানুষকে গুলি করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই নির্দেশ দিয়েছি—সশস্ত্র সন্ত্রাসী দেখলেই এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করতে। তবে নিরস্ত্র কারও ওপর এই অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।”

রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডও বন্ধ। এই নিষিদ্ধ চরমপন্থি দল যদি রাস্তায় নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তাহলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে, গুলি নয়। তাদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিচার হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সারোয়ার বাবলা হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনকে আমরা আগেও গ্রেপ্তার করেছিলাম, কিন্তু তারা বেশিদিন জেলে থাকেনি—কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে এসেছে।”

সম্প্রতি চট্টগ্রামে একাধিক সহিংস ঘটনার পর উত্তেজনা বেড়েছে। গত বুধবার নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতটলি এলাকায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় পাঁচজন আহত হন, তাদের মধ্যে এরশাদ উল্লাহও ছিলেন। পরে আহতদের একজন, সারোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন ও অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ অন্তত ১৫টি মামলা ছিল।

এ ছাড়া গত শুক্রবার হালিশহর মাইজপাড়া এলাকায় দিবালোকে ছুরিকাঘাতে মো. আকবর নামে একজন নিহত হন। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধেও মাদক সংক্রান্ত মামলা ছিল।

এর আগে ২৭ অক্টোবর নগরীর বাকলিয়া এলাকায় পোস্টার টানানো নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিবর্ষণে ছাত্রদল কর্মী মো. সাজ্জাদ (২২) নিহত হন। ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন।

RELATED NEWS

Latest News