Monday, November 3, 2025
Homeজাতীয়সাত মাস পর উৎপাদনে ফিরল চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা

সাত মাস পর উৎপাদনে ফিরল চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা

গ্যাস সংকট কেটে যাওয়ায় রবিবার ভোরে উৎপাদন শুরু, দৈনিক ক্ষতি হচ্ছিল ৩ কোটি টাকা

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরেছে। রবিবার ভোর থেকে কারখানাটিতে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়।

কারখানার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার ভোররাত সাড়ে ৩টা থেকে সিইউএফএলে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে। গ্যাস সংকটের কারণে কারখানাটি বন্ধ থাকায় দৈনিক প্রায় ৩ কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতি হচ্ছিল।

সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) গত ১১ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে কারখানার উৎপাদন পুরোপুরি থেমে যায়। পরবর্তীতে ১৯ অক্টোবর সকাল ১১টায় গ্যাস সরবরাহ পুনরায় শুরু হলে প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক কার্যক্রম শেষে উৎপাদন শুরু করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে এবং কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা না দিলে ইউরিয়া সারের উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।

সিইউএফএল সূত্র অনুযায়ী, সম্পূর্ণ গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল এই কারখানায় পূর্ণ মাত্রায় উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪৮ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। অতীতে গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক সমস্যার কারণে গত অর্থবছরে কারখানাটি প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করেছিল।

বাংলাদেশে বছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে থাকা সিইউএফএলসহ অন্যান্য কারখানাগুলো প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন করে। বাকি ১৬ লাখ মেট্রিক টন উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারা উপজেলায় সরকার সিইউএফএল কারখানাটি স্থাপন করে। প্রাথমিকভাবে কারখানাটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১,৭০০ মেট্রিক টন এবং বার্ষিক ক্ষমতা ছিল ৫ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া। বর্তমানে এটি দৈনিক প্রায় ১,২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়ার পাশাপাশি বছরে ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন করতে পারে।

RELATED NEWS

Latest News