চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোনো কোম্পানির হাতে তুলে না দিয়ে দেশীয় সম্পদেই পরিচালনার দাবি জানিয়েছে বামধারার রাজনৈতিক জোট গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি (জিওসি)। শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দিলে কী ঝুঁকি?’ শীর্ষক আলোচনায় এই দাবি ওঠে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে দেশীয় ব্যবস্থাপনায় ভালোভাবেই চলছে। সরকার চাইলেই এই বন্দরকে আরও আধুনিক করে তুলতে পারে।” তিনি সিঙ্গাপুর মডেল অনুসরণ করে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, “দেশীয় দক্ষ জনবলকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। অথচ এই জনশক্তিকে আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষণ দিয়ে বন্দরের পরিচালনায় নিয়োজিত করলে দেশ আরও লাভবান হবে। বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দিলে জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থ হুমকির মুখে পড়বে।”
প্রশ্নোত্তর পর্বে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ জানান, “বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই রপ্তানি চার গুণ বাড়ানো সম্ভব।”
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা বলেন, “দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকেই চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালনায় নিয়োগ দেয়া উচিত।” তিনি স্বচ্ছতা বজায় রাখতে দেশি ও বিদেশি যেকোনো চুক্তির শর্তাবলি প্রকাশের দাবি জানান।
সাবেক চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তা জাফর আলম বন্দরের পরিচালনায় প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে একটি বিশদ উপস্থাপনা দেন। আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার ও মাহি মির্জা।
আলোচনার শেষে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি ২৮ জুন জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে লংমার্চের ঘোষণা দেয়।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের দাবিকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে বলে জানান আয়োজকরা।