চীনের উহান থার্ড হসপিটালের পাঁচ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল ঢাকায় পৌঁছেছে। দগ্ধ রোগীদের উন্নত চিকিৎসায় সহায়তা করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গ্লোবাল হেলথ ইমারজেন্সি রেসপন্স উইং-এর প্রধান সায়েদা জেসমিন সুলতানা মিল্কি বিমানবন্দরে দলটিকে স্বাগত জানান।
চীনা বিশেষজ্ঞ দলটি শুক্রবার সকাল থেকেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। বার্ন চিকিৎসা ও প্লাস্টিক সার্জারির অভিজ্ঞ এই চিকিৎসক ও নার্সরা স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে মারাত্মক দগ্ধ রোগীদের শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করছেন। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশও দিচ্ছেন তারা।
চিকিৎসক দলটির আগমনকে একটি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। চলমান জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতিতে এর আগে অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও এমন সহায়তা পাওয়া গেছে।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে চীনের ইউনান প্রদেশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কুনমিং মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সেকেন্ড অ্যাফিলিয়েটেড হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ দলকে ভিডিও কনসালটেশনের মাধ্যমে যুক্ত করে। চীনা বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে মিলে সাম্প্রতিক সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ হওয়া কয়েকজন রোগীর চিকিৎসা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
এই ভিডিও কনসালটেশনে বার্ন চিকিৎসা, প্লাস্টিক সার্জারি, শিশুদের কিডনি সমস্যা এবং শ্বাসযন্ত্রজনিত চিকিৎসার অভিজ্ঞ চীনা বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। এতে উভয় দেশের চিকিৎসকদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং চিকিৎসার গুণগত মান উন্নয়নে একটি কার্যকর দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।
চীনা চিকিৎসক দলের এই ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের এক অনন্য উদাহরণ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সমন্বিত উদ্যোগে আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।