চীনের সিনজিয়াং অঞ্চলে দেশের সর্ববৃহৎ ৭৫০ কেভি “পাওয়ার এক্সপ্রেসওয়ে লুপ” চালু হয়েছে। এটি অঞ্চলের শক্তি বণ্টনকে আরও কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য করেছে। বর্তমানে সিনজিয়াংয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় বায়ু ও সৌর শক্তির মতো পরিচ্ছন্ন শক্তি থেকে। এই লুপের মাধ্যমে ২৭০ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টার বেশি সবুজ বিদ্যুৎ অন্য অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়।
সিনজিয়াংয়ে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক কোম্পানি নতুন শক্তি খাতে বিনিয়োগ করছে। সিলিকন ওয়েফার, ফটোভোল্টাইক মডিউল, বায়ু টারবাইন ও ব্লেডসহ নতুন শক্তি যন্ত্রপাতি উৎপাদনের শিল্পগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্প শৃঙ্খল সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং অঞ্চলের সবুজ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।
একসময় সিনজিয়াংয়ের বিস্তীর্ণ মরুভূমি ও মরূভূমি অঞ্চল অর্থনৈতিক বাধা হিসেবে দেখা হতো। এখন তা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসে পরিণত হয়েছে।
চীনের কর্মকর্তারা এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশটি নবায়নযোগ্য শক্তি ও নিম্ন-কার্বন উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে চীনের নতুন জাতীয় নির্ধারিত অবদান (NDCs) ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী চীন ২০৩৫ সালের মধ্যে অর্থনীতির সর্বোচ্চ শীর্ষ থেকে গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ৭ থেকে ১০ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্য স্থির করেছে এবং প্যারিস চুক্তির দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে।
