বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)–এর খাদ্য সহায়তায় চীন নতুন করে অনুদান দিয়েছে। এই অনুদান দিয়েছে চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সি (সিআইডিসিএ)।
শুক্রবার ডব্লিউএফপির এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ঢাকায় সংস্থাটির কান্ট্রি অফিসে এক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সহায়তা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, চীনের অনুদানে ২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল, ডাল এবং রান্নার তেল কেনা হবে। এ খাদ্য সহায়তা আগামী তিন মাসে কক্সবাজারে অবস্থানরত প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য যথেষ্ট হবে।
ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কালপেলি বলেন, “চীনের এই উদার অনুদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়েই এসেছে। মানবিক চাহিদা বাড়ছে এবং তহবিলের ওপর চাপ বাড়ছে। এই অনুদান আমাদের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে।”
চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স লিউ ইউইন বলেন, “বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে এবং মানবিক সংকট নিরসনে এই সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
রোহিঙ্গা সংকট এখন অষ্টম বছরে পা রেখেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতিমধ্যে দশ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ যোগ হওয়ায় মানবিক তৎপরতার ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, আগামী এক বছরের জন্য রোহিঙ্গাদের পূর্ণ খাদ্য সহায়তা চালিয়ে যেতে সংস্থাটির আরও ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন। নতুন অর্থায়ন না পেলে অক্টোবর ২০২৫ এর পর থেকে খাদ্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ডম স্কালপেলি বলেন, “আমরা আশা করি, এই অনুদান শুধু সহযোগিতার ধারাবাহিকতা নয়, বরং চীনের আরও গভীর সম্পৃক্ততার প্রতিফলন হবে।”
চীনের এই সহায়তা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব জোরদারে নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।