চীন সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করেছে যে দেশটি গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “চীন সর্বদা শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অটল থেকেছে, পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে প্রথমে ব্যবহার না করার নীতি অনুসরণ করেছে এবং পরীক্ষাবিরতি চুক্তি মেনে চলছে।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রকেও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বিরতিতে থাকার আহ্বান জানান।
মাও নিং আরও বলেন, “আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র বাস্তব পদক্ষেপ নেবে, যাতে বৈশ্বিক পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও অপ্রসারণ চুক্তি বজায় থাকে এবং কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষা পায়।”
গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, তিনি তার “ওয়ার ডিপার্টমেন্টকে” নির্দেশ দিয়েছেন “অবিলম্বে” পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করতে, যাতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সমান অবস্থানে থাকে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইট বলেন, “বর্তমানে যে পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে তা সিস্টেম টেস্ট, পারমাণবিক বিস্ফোরণ নয়।”
এর আগে সিবিএস টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, “রাশিয়া ও চীন গোপনে পরীক্ষা চালাচ্ছে, কিন্তু কেউ তা নিয়ে কথা বলছে না। আমি একমাত্র দেশ হতে চাই না যে পরীক্ষা করছে না।”
তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানও একইভাবে তাদের অস্ত্রভাণ্ডার পরীক্ষা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ পারমাণবিক বিস্ফোরণ চালায় ১৯৯২ সালে। এরপর থেকে উত্তর কোরিয়া ছাড়া আর কোনো দেশ প্রকাশ্যে পারমাণবিক বিস্ফোরণ করেনি।
রাশিয়া ও চীন জানিয়েছে, তারা যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯৬ সালের পর থেকে কোনো পারমাণবিক বিস্ফোরণ চালায়নি।
গত সপ্তাহে রাশিয়া ঘোষণা করে, তারা নতুন পারমাণবিকচালিত ক্রুজ মিসাইল বুরেভেস্টনিক এবং পারমাণবিকচালিত আন্ডারওয়াটার ড্রোন পরীক্ষা করেছে।
