প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশন শেষে দেশে ফিরছেন। বুধবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তিনি বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় ফিরবেন বলে জানানো হয়েছে।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তিনি এবং তার স্বল্পসংখ্যক সফরসঙ্গী দুবাই থেকে রওনা হবেন ভোর ২টায় (দুবাই সময়)। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার আগেই (ঢাকা সময়) তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
প্রফেসর ইউনুস মঙ্গলবার রাতে (মার্কিন সময়) নিউইয়র্ক থেকে এমিরেটসের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকা ফেরার উদ্দেশে রওনা দেন। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১০ মিনিটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার ফ্লাইট ছেড়ে যায়। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী তাকে বিদায় জানান।
প্রধান উপদেষ্টা গত ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সফরে নিউইয়র্কে পৌঁছান। নয় দিনের এ সফরে তিনি একাধিক বৈঠক, সম্মেলন ও আলোচনায় অংশ নেন। সফরের শেষ দিনে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে “রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি” বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ড. ইউনুস। তার সফরকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির, জামায়াত নেতা সাইয়েদ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জামায়াতের মার্কিন মুখপাত্র মোহাম্মদ নকিবুর রহমান, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং তাসনিম জারা তার সঙ্গে ছিলেন।
জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে ড. ইউনুস বলেন, মানবতার দীর্ঘ সংগ্রামে অর্জিত অগ্রগতি ধ্বংস করছে চরম জাতীয়তাবাদ, অন্যের কষ্টে টিকে থাকা ভূরাজনীতি এবং মানবিক বেদনার প্রতি উদাসীনতা। তিনি গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনটি লক্ষ্য সামনে রাখার আহ্বান জানান: শূন্য কার্বন, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং শূন্য বেকারত্ব। তার ভাষায়, “তিন শূন্যবিশিষ্ট পৃথিবীর স্বপ্ন যেন সব জাতির স্বপ্ন হয়।”
