চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দীর্ঘ ৩০ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (সাকসু) নির্বাচন। মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার এই নির্বাচনকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের “রিহার্সাল” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা যেভাবে আচরণবিধি মেনে সুন্দরভাবে প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির কৃতিত্ব পুরোপুরি শিক্ষার্থীদের।”
ভোট শুরু হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য। তিনি বলেন, “নিরাপত্তা ও পরিবহনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।”
নির্বাচনে নতুন উদ্যোগ ও প্রযুক্তি
উপাচার্য জানান, ভোট প্রক্রিয়াকে সহজ করতে ব্যালট পেপারে ক্রস চিহ্নের পরিবর্তে বৃত্ত পূরণের পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যাতে ভোটারদের কোনো বিভ্রান্তি না হয়।
অতিরিক্ত উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার চবিতে কিছু নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, “প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত করা হয়েছে, যা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে হয়নি। এটি একটি বড় কাজ ছিল, কিন্তু আমরা সম্পন্ন করেছি।”
তিনি আরও বলেন, দ্রুত ও সঠিকভাবে ভোট গণনার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ওএমআর (OMR) মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্বচ্ছতা ও গণমাধ্যমের উপস্থিতি
প্রো-ভিসি কামাল উদ্দিন বলেন, “ভোট গ্রহণ থেকে গণনা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া গণমাধ্যমের পর্যবেক্ষণের জন্য উন্মুক্ত। আমরা চাই নির্বাচন শতভাগ স্বচ্ছ হোক।”
তিনি আরও বলেন, “এই নির্বাচনকে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক বলছি, কারণ ভোট দিচ্ছে কে এবং পুরো প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে গণমাধ্যম আমাদের সঙ্গী।”
ভোট শেষে ফলাফল ঘোষণার আগে যথাযথ সময় নেওয়া হবে বলে জানান তিনি, যাতে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে ফল প্রকাশ করা যায়।
