টেনিসের বর্তমান বিস্ময় স্প্যানিশ তারকা কার্লোস আলকারাজ আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। চলতি উইম্বলডনে টানা তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামছেন এই ২২ বছর বয়সী। তার মতে, নিজের ভয় কাটিয়ে উঠতে পারাই তার বর্তমান সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
সোমবার সেন্টার কোর্টে ইতালির ফাবিও ফগনিনির বিপক্ষে উইম্বলডন অভিযান শুরু করবেন আলকারাজ। তার সামনে সুযোগ, ওপেন যুগে পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে টানা তিনবার উইম্বলডনের শিরোপা জয়ের। এর আগে এই কীর্তি গড়েছেন বিয়র্ন বর্গ, পিট সামপ্রাস, রজার ফেদেরার ও নোভাক জকোভিচ।
আলকারাজ বলেন, “আমি এখানে এসেছি শিরোপা জয়ের জন্য, ইতিহাস গড়ার চিন্তা মাথায় নেই। শুধু নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চাই, এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই।”
গত বছর উইম্বলডনের ফাইনালে জকোভিচকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন। এবার ক্যারিয়ার-সেরা ১৮ ম্যাচের জয়রথে ফিরেছেন অল ইংল্যান্ড ক্লাবে।
তিনি বলেন, “আমি যখন শুধু খেলা উপভোগ করি, তখনই নিজের সেরা খেলাটা বের করে আনতে পারি। এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে আমি ভয়মুক্ত খেলছি, যেটা আমাকে মুক্তভাবে খেলতে দিচ্ছে।”
উইম্বলডনের আগে কুইন্স ক্লাব গ্রাস কোর্ট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি সেরেছেন আলকারাজ। এর আগে ফরাসি ওপেনের ফাইনালে দুই সেট পিছিয়ে থেকে জানিক সিনারকে হারিয়েছেন টাইব্রেকারে।
সেই ম্যাচে তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে তিনি দেখিয়েছেন মানসিক দৃঢ়তা। এই বছর ক্লে কোর্টে মন্টে কার্লো ও রোমের শিরোপাও জিতেছেন তিনি।
আলকারাজ বলেন, “আমার পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা এসেছে মানসিক স্বস্তি থেকে। কোর্টের বাইরেও আমি যেন ভালো থাকি, সেটাও আমার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।”
সেই স্বস্তির জন্য বন্ধুদের সঙ্গে গলফ খেলেছেন এবং লন্ডনে ডিনারে গিয়েছেন সাবেক চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডি মারের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “অফ-দ্য-কোর্ট ভালো থাকলে কোর্টেও ভালো খেলা সম্ভব। তাই মনটা খুশি রাখাটাও আমার প্রস্তুতির অংশ।”
উইম্বলডনের স্মৃতি এখনও আলকারাজের মনে গেঁথে আছে।
“গত বছরের স্মৃতি এখনও টাটকা। এই টুর্নামেন্টটা শুরু করতে মুখিয়ে আছি,” বলেন পাঁচবারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী এই তরুণ।
কিন্তু সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। সম্ভবত সেমিফাইনালে তাকে মুখোমুখি হতে হতে পারে গতবারের প্রতিদ্বন্দ্বী নোভাক জকোভিচের।
তবু আলকারাজ এখন নিজের খেলায়, নিজের ছন্দে ভরসা রাখছেন। তার জন্য পথটা কঠিন হলেও, বিশ্বাসটা তার হৃদয়ের গভীরে গেঁথে আছে—ভয় জয় করেই ইতিহাস গড়া যায়।